শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি

বাজার দর

রমজান শুরুর আগে দাম বাড়ানো সব ধরনের সবজির দর আগের মতোই রয়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। হঠাৎ করে দেশি মসুর ডালেরও দাম বেড়েছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পিয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা। এ ছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম। রমজান শুরু হওয়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সিটি করপোরেশন থেকে ঝটিকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। তবে এসব পরিদর্শনের কোনো প্রভাব বাজারগুলোতে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা তাদের নির্ধারিত দরেই বিক্রি করছেন সব ধরনের পণ্য। গতকাল রাজধানীর উত্তরা, খিলক্ষেত, মহাখালী কাঁচাবাজার, বাড্ডা কাঁচাবাজার এলাকার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এমনটি দেখা গেছে। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজার ও মানভেদে কাঁচা পেঁপে ৫০-৭০, শসা ৪০-৫০, বেগুন ৬০-৭০, পাকা টমেটো ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটোল ৪০-৫০, বরবটি ৬০-৭০, লতি ৭০-৮০, করলা ৬০-৭০, ধুন্দুল ৬০-৭০, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া কাকরোল ৬০-৮০, ঝিঙা ৫০-৭০, শিম ৪০-৬০, গাজর ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করে বেড়েছে দেশি মসুর ডালের দাম। আগের সপ্তাহে যে ডাল বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা দেশি পিয়াজ মানভেদে বিক্রি করছেন ২৫-৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের মতো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি দরে। লাল লেয়ার মুরগি ১৮০-১৯০ এবং পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২৫-৫৫০ আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি। এদিকে কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মাছের দাম এখনো বেশ চড়া। তেলাপিয়া মাছ আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। রুই ২৮০-৩০০, পাবদা ৬০০-৭০০, টেংরা ৫০০-৮০০, শিং ৫০০-৬০০ এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি।

সর্বশেষ খবর