বুধবার, ২২ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডুবোচরে বিপজ্জনক দক্ষিণের নৌপথ

বয়া-বিকনবাতি-মার্কার নেই, সরু চ্যানেল

রাহাত খান, বরিশাল

প্রতি বছর প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা থেকে নৌপথে বাড়ি ফেরেন দক্ষিণের লাখ লাখ মানুষ। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ যাত্রীর চাপ মোকাবিলায় বরিশাল-ঢাকা রুটের ২৩টিসহ অপর পাঁচ জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠি থেকে বিরতিহীনভাবে যাত্রী পরিবহন করবে আরও অন্তত ৩০টি বিশালাকার নৌযান। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরও পাঁচটি স্টিমার-জাহাজ ঈদে দক্ষিণের ঘরমুখো যাত্রীদের পরিবহন করবে। কিন্তু ডুবোচরসহ নানা সংকটে ঢাকা থেকে দক্ষিণের নৌরুটগুলোকে বিপজ্জনক মনে করছেন নৌযান মালিক ও চালকরা। ঈদের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো ড্রেজিং কিংবা বয়া, বিকন বাতি স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণের নৌরুটগুলোতে বয়া ও বিকনবাতি এবং মার্কার না থাকাই প্রধান সমস্যা। নৌযান চালকদের মতে, বয়া-বিকনবাতি ও মার্কার ছাড়া রাতে লঞ্চ চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়াও পন্টুন সংকট, সরু চ্যানেল এবং অধিকাংশ রুটে রয়েছে ডুবোচর। ঢাকা-বরিশাল রুটের এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের প্রধান মাস্টার মজিবর রহমান জানান, ঢাকা থেকে আসতে এবং বরিশাল থেকে যেতে মেহেন্দিগঞ্জের ভাসানচরের আগে, বামনীর চরের বামে, লতা নদী ও মেঘনার লালখাড়াবাদের ডানে বয়াবাতি নেই। এসব পয়েন্ট অতিক্রম করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। দীর্ঘ এই নৌপথে বিকনবাতিও অপর্যাপ্ত। মার্কার নেই অধিকাংশ স্থানে। এমভি পারাবত লঞ্চের মাস্টার শামীম আহমেদ বলেন, ঈদের বিশেষ সার্ভিসের সময় বরিশাল ঘাটে এসে যাত্রী নামাতে ভোগান্তি হয় পন্টুন সংকটের কারণে। মাত্র তিনটি পন্টুনে ঈদের বিশেষ সার্ভিস দেওয়া ২৩ লঞ্চের যাত্রী নামানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ সামলাতে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিসের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও নৌপথের নানাবিধ সংকট মালিক ও চালকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর