বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাম্পার ফলনেও হতাশায় কৃষক

ধান নিয়ে দৌরাত্ম্য মধ্যস্বত্বভোগীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

১৪ শতাংশ আদ্রতাসহ (শুকনো ধান) বিক্রির নীতিমালা না জানার কারণে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযানের সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না খুলনার অধিকাংশ কৃষক। পাশাপাশি কৃষিকার্ড না থাকা ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে অবিক্রীত ধান নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত দুই দিনে খুলনার ফুলতলা ও দীঘলিয়ায় সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৫ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে উপজেলা ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন অসংখ্য কৃষক ধান নিয়ে এলেও নানা সীমাবদ্ধতায় তা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। জানা গেছে, খুলনা জেলায় এবার বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু কৃষকরা অধিক লাভের আশায় ৫৯ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে চাষ করেছেন। এতে প্রায় ২ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দর অনেক কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন কৃষকরা। এদিকে সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু হলেও সিন্ডিকেটের কারণে বিপাকে পড়েছেন প্রকৃত কৃষকরা।  খুলনার রূপসা উপজেলার খাজরা এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ধান চাষ আর করব না। ধান এখন পাপ। রোপণের সময় বীজ সংকট, চারা বড় হলে পানি সংকট, কাটার সময় শ্রমিক সংকট আর বিক্রির দাম নেই। কোথায় যাবে কৃষক।

 ডুমুরিয়া রংপুর ইউনিয়নের কৃষক মৃণাল হাজরা জানান, ‘আমার নামে ধান বিক্রির কার্ড হয়েছে, কিন্তু আমি জানি না। কারা আমার কৃষিকার্ড নিয়েছে তাও জানি না। এলাকার কিছু লোক রয়েছে। তারা খাদ্য অফিসে যোগাযোগ করে কার্ড করে নেয়। তারা আবার গরিব কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে মজুদ রাখে। পরে সুযোগ বুঝে বেশি দামে তা বিক্রি করে।’ একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে রূপসা কাজদিয়া এলাকার কৃষক মো. রবিউল ইসলাম জানান, আমরা ধান বিক্রি করতে গেলে ধানের আদ্রতায় সমস্যা হয়। সে ধান চলে না। কিন্তু খাদ্য অফিসের কিছু নিজস্ব লোক রয়েছে, তারা যে ধানই নেয়, তাই-ই চলে। কৃষকের লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়।

সর্বশেষ খবর