বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
সরব চাকসু হঠাৎ নীরব

দুই মাসেও প্রতিবেদন দেয়নি কমিটি

বাইজিদ ইমন, চবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ধুম পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের। ছাত্র সংগঠনগুলো চাকসু নির্বাচনের দাবিতে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাতিয়ে রাখত পুরো ক্যাম্পাস। পরে প্রশাসনও নড়েচড়ে বসে। চাকসু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কয়েক দফা বৈঠকও করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটি। কিন্তু সেই সরব চাকসু নির্বাচন এখন সর্ম্পূণরূপে নীরব। গঠিত পর্যালোচনা কমিটিও প্রতিবেদন জমা দেয়নি দুই মাসে। জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার পর দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের কেন্দ্র্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নানামুখী আন্দোলনে সরব ছিল ক্যাম্পাস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও তার ব্যতিক্রম ছিল না।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংঘাতের শঙ্কায় নির্বাচন দিতে প্রায় সময়ই নারাজ ছিল। কিন্তু ছাত্র সংগঠনগুলোর আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে প্রস্তুতি নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে প্রশাসন কয়েক দফা বৈঠকও করে। চাকসু নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যের নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটিও গঠন করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলগুলোতে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা, হলে অবৈধ ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থানসহ বেশ কয়েকদিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৈরি হয় একটি নির্বাচনী আমেজ। কিন্তু সেই নির্বাচনী আমেজ এখন আর নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেই কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ। হতাশ হয়ে পড়েছেন ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। তারাও জানেন না কবে হবে এ চাকসু নির্বাচন। জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে না তারা চাকসু নির্বাচন দিতে পারবে। যদি ইচ্ছা থাকত তাহলে দুই মাসে নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটি প্রতিবেদন দিত।’

নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. শফিউল আলম বলেন, ‘আমাদের কাজ থেমে নেই। আমাদের কাজ চলছে। ঈদের পরই আমরা প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’

সর্বশেষ খবর