শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরিবহন খাতে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি

চৌকি বসিয়ে টাকা আদায় রাজশাহীতে । সমিতির চিঠিও কাজে আসছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পরিবহন খাতে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি

রাজশাহী মহানগরীতে প্রবেশের তিনটি পথে চৌকি বসিয়ে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদা আদায়। অথচ এমন চাঁদাবাজি বন্ধে ২০ দিন আগেই চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। জানা গেছে, সড়ক থেকে চাঁদা তোলার পর সেই টাকা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ভাগ হয়ে যায়। এই টাকা ইচ্ছেমতো হরিলুট করা হয় বলেই অভিযোগ পরিবহন শ্রমিকদের। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী ট্রাক ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে পরিবহন থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে। রাজশাহী মহানগরীর চারটি স্থানে ট্রাক ও বাস থেকে চাঁদা তোলা হতো। শিরোইল বাস টার্মিনাল, তালাইমারী, নওদাপাড়া আমচত্বর ও কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় চৌকি বসিয়ে চাঁদা আদায় চলতো। এর মধ্যে কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে চাঁদা তোলা বন্ধ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। সেখানে সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদা তোলা হতো। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, রাজশাহী মহানগরীতে পরিবহন থেকে যে চাঁদা তোলা হয় তার ৬০ ভাগ পায় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন। আর ৪০ ভাগ থাকে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের। কিন্তু এই দুই সংগঠনের তহবিলে নগরীর অন্য তিন স্থান থেকে তোলা টাকা তো দূরের কথা, দুই বছরে কাশিয়াডাঙ্গা থেকেই যে টাকা তোলা হয়েছে তাও নেই। দুই সংগঠনের তহবিলে আছে মাত্র কয়েক লাখ করে টাকা। সূত্র জানায়, প্রতিটি বাস থেকে নেওয়া হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আর ট্রাক থেকে নেওয়া হয় সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন ট্রাক থেকে চাঁদা ওঠে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর বাস থেকে ওঠে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। গড়ে মোট টাকার পরিমাণ ১ লাখ। রাজশাহী ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান পলক ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ আনন্দ জানিয়েছেন, তাদের সংগঠনের তহবিলে তেমন টাকা নেই। তহবিলের টাকার পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে না জানালেও কয়েক লাখ করে টাকা জমা থাকতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার সালমা সুলতানা আলম বলেন, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চাঁদাবাজি বন্ধের অনুরোধ করা চিঠিটি তিনি পেয়েছেন। কিন্তু রাজশাহীতে চাঁদা তোলা হয় কি না, তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেননি।

সর্বশেষ খবর