পুরান ঢাকার বাবুবাজারের একটি বাড়িতে গতকাল র?্যাব ১০ অভিযান চালায়। এ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। বাড়িটি একটি সাধারণ বাসা যেমন হয় তেমনি সাজানো-গোছানো। সেখানকার অভিযান শেষে ৭টি নকল ওষুধের বিক্রয়কেন্দ্র সিলগালা করা হয়। পাশাপাশি নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দেওয়া হয়েছে। র্যাব জানায়, তাদের কাছে আগেই গোপন তথ্য ছিল যে, ওই বাড়িতে নকল ওষুধ মজুত করা আছে। বাসার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে খাটের তোশক ওঠাতে বেরিয়ে এলো অ্যাজমা ও হৃদরোগের নানা ওষুধ। এ সময় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের লোকজন পরীক্ষা করে জানায়, তোশকের নিচে পাওয়া সব ওষুধ নকল। দেশি-বিদেশি নামি ব্র্যান্ডের মোড়কে এসব নকল ওষুধ বিক্রি করে একটি চক্র।
এদিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য নকল করে অনলাইনে বিক্রির অভিযোগে প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার রাতে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- সুজন মোল্লা (২৬), হাসিবুল হাসান চঞ্চল (৩২), জোরদিস হাসান (২৭), মেহেদী হাসান (২৩), নুর ইসলাম (১৯), পারভেজ মোল্লা (১৯) ও আবু তাহের (১৯)। গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪-এর সিও (কমান্ডিং অফিসার) চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, নামি ব্র্যান্ড সেইলর্স এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়- তাদের দামি পোশাক যেমন পাঞ্জাবির ছবি তুলে সেইলর্সের স্থানে নকল নাম জুড়ে দিয়ে অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা করছে একটি চক্র। পরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে প্রতারক চক্রের সদস্যরা অন্যের ব্র্যান্ডের ডিজাইন তো চুরি করছেই, আবার কমদামে ভালো পোশাক দেখে ক্রেতারা অর্ডার করছেন- সেখানেও দামি পোশাকের পরিবর্তে বঙ্গবাজার থেকে কমদামি পোশাক এনে ডেলিভারি দিচ্ছে। আবার কখনো পোশাকের পরিবর্তে মোবাইলের চার্জার, রাউটার, কাভার ইত্যাদি ডেলিভারি দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। পণ্য অর্ডারের আগে প্রথমে সার্ভিস চার্জ নেয় এবং একটু দামি পণ্যের ক্ষেত্রে পুরো দাম আগেই নিয়ে নেয়। এরপর পণ্য যখন ক্রেতারা হাতে পান তখন খুলে দেখেন কাক্সিক্ষত পণ্যটি তিনি পান না। এমনকি, মোবাইলের পরিবর্তে সাবান দেওয়ার মতো ঘটনাও এক্ষেত্রে ঘটেছে।