শিরোনাম
সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

অবহেলার শিকার চবি ছাত্রলীগ

বাইজিদ ইমন, চবি

মৌলবাদের আখড়া খ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ক্যাম্পাসকে জামায়াত-শিবিরমুক্ত করতে অনেকে জীবন দিয়েছেন। পঙ্গুত্ববরণ করেছেন অনেকে। আজ মৌলবাদমুক্ত এ ক্যাম্পাস। যেখানে উড়ছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পতাকা। চলছে সাংস্কৃতিক চর্চা। যার কারণে এ শাখার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আলাদা একটা মর্যাদা বহন করে চলছে। এ শাখার অনেক নেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এমনকি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন মাঈদুদ্দিন হাসান চৌধুরী।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। ফলে কার্যত স্থবির এ শাখার কার্যক্রম। সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে স্থান পেয়েছে শুধু একজন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই গুঞ্জন ওঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রায় ডজন খানেক নেতা কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন।

গত ১৩ মে ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে স্থান পেয়েছে একজন ছাত্রী। এ কারণে ক্ষুব্ধ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে কমিটি ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানান সমালোচনার ঝড় ওঠে।

শাখা ছাত্রলীগের ত্যাগী, জামায়াত-শিবিরের আমলের বিভিন্ন মামলার আসামি জামান নূর বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জামায়াত-শিবিরের নানামুখী হামলার শিকার হয়েছি। কারাবরণ করেছি কয়েকবার। তার পরেও শিবিরের মিনি ক্যান্টনমেন্টখ্যাত এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পতাকা উড্ডীন করেছি। আজ আমরা অবহেলিত। অবমূল্যায়িত। নেত্রী ছাড়া আজ আমাদের দেখার কেউ নেই।’ সোহাগ ও জাকির কমিটির সদস্য ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসাইন জেমস ও সাবরিনা চৌধুরী। তারাও কোনো পদে আসেনি। এ নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। এ ছাড়াও অবহেলিত হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, মনসুর আলম, নাছির উদ্দিন সুমন, গোলাম রসূল নিশান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, তারেকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর