বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান

৩০ টাকার ইফতার করল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে জেলখানার মতো ৩০ টাকা মূল্যের ইফতার করিয়েছে বিএনপি। রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে গতকাল সন্ধ্যায় এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কারাগারে খালেদা জিয়ার প্রাপ্ত মূল্যমান ইফতারের সঙ্গে সংগতি রেখে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একই মূল্যমানের এ ইফতারের আয়োজন করে দলটি। এতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমাদের এ আয়োজনে অংশ নিতে হচ্ছে। গণতন্ত্রের মাতা দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। তাকে সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এই রমজান মাসে যখন আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, তখন তিনিও কারাগারে থেকে বন্দী অবস্থায় পিজি হাসপাতালের ছোট্ট একটি কক্ষে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার ইফতারের জন্য সরকারের বরাদ্দ মাত্র ৩০ টাকা।’ তিনি বলেন, ‘সে জন্যই আজকে আমরা যে আয়োজন করেছি, এ আয়োজন আমাদের সব নেতা-কর্মীর সেই অনুভূতি, সেই বেদনাবোধ। সে কারণে আজকে আমাদের ইফতারের আয়োজনও ৩০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছি। আমরা অভ্যাগত সুধীবৃন্দের কাছে, আমাদের অতিথিদের কাছে অনুরোধ জানাব, আপনাদের কষ্ট হলেও আপনারা দয়া করে এটাকে স্বীকার করে নেবেন। এটি শুধু সেই নেত্রীর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য।’ এ সময় খালেদা জিয়াসহ আটক নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া চান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে জগদ্দল পাথরের মতো একটা জগদ্দল সরকার চেপে বসে আছে। সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে, গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। একটা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিয়েছে, রাষ্ট্রের স্তম্ভ ভেঙে দিয়েছে। আমরা একটা ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আসুন, আমরা সবাই আল্লাহর কাছে এ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করি।’

বিএনপির এই ইফতারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ অংশ নেন।

২০-দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক মো. তাসনীম আলম, মাওলানা আবদুল হালিম, হামিদুর রহমান আজাদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দীন, দক্ষিণের সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন মানিক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএলের সাইফুদ্দিন মণি, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল প্রমুখ অংশ নেন।

অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লা বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, দলের যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর