শুক্রবার, ৩১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি

মানব পাচারকারী এনামুল ও রাজ্জাক রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। গতকাল সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা মেহের বানু তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে সিলেট নগরীর রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের স্বত্বাধিকারী এনামুল হকের ছয় দিন ও তার সহযোগী আবদুর রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর কর্মকর্তারা।

রিমান্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালিতে মানব পাচারের সময় ৯ মে নৌকাডুবিতে সিলেটের যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা এনামুল হকের মাধ্যমেই যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সিআইডির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে আদালত এনামুলের ছয় দিন ও রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে ফিরে আসা ফেঞ্চুগঞ্জের বিল্লাল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৬ মে রাতে সিলেটের আলোচিত মানব পাচারকারী এনামুল হকসহ ২০ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ইতালিতে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত আবদুল আজিজের ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন।

মামলার আসামিরা হলেন সিলেটের রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের স্বত্বাধিকারী গোলাপগঞ্জ উপজেলার পনাইরচক গ্রামের মৃত আবদুল খালিক ওরফে কটাই মেম্বারের ছেলে এনামুল হক, একই উপজেলার হাওরতলা গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার ছেলে জায়েদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজ্জাক হোসেন, ঢাকার সাইফুল ইসলাম, মঞ্জুর ইসলাম ওরফে গুডলাক ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জন। ওই রাতেই এনামুলসহ তিন মানব পাচারকারীকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

প্রসঙ্গত, ৯ মে ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে মারা যান বেশ কিছু বাংলাদেশিসহ অন্তত ৬৫ জন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই সিলেটের বাসিন্দা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর