তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি আমলে খাদ্য ঘাটতির সময় তারা বলেছিল এ দেশের মানুষ বেশি ভাত খায়। সেটি ছিল নির্মম তামাশা। এখন (আজ) শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অতিক্রম করে আমরা চাল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি। এ বছরও ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানি করবে বাংলাদেশ।’ গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদের কারণে এবার রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। দলের নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঈদেও অসাধু কোনো ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি না করতে পারে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমালোচনাকে আমরা সমাদৃত করি, কিন্তু অন্ধ ও অসদুদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না। একটা গোষ্ঠী সবসময় সমালোচনা করার জন্যই সমালোচনা করে। ধানের দাম এক সপ্তাহের জন্য পড়ে গিয়েছিল, এখন তা ঠিক হয়ে গেছে, সরকারি কর্মকর্তারা কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনছেন। ধান খেতে সাজানো আগুন লাগানোর ঘটনাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।’ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আওয়ামী নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম লীর সদস্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার আলোচনায় অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী এর পরই কাকরাইলে রাজমণি ঈশা খাঁ হোটেলে ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির ইফতারে যোগ দেন ও সমিতির সভাপতি শেখ মামুন, সাধারণ সম্পাদক এস এম বাবুল, বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
