রবিবার, ২ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত কুমিল্লা শালবন বিহার

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত কুমিল্লা শালবন বিহার

শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর- পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। ঈদ আর বিভিন্ন উৎসবে শালবন বৌদ্ধ বিহারে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। শালবন বৌদ্ধ বিহারসহ পাশের রূপবানমুড়া ও কোটিলা মুড়ায় আশপাশের জেলা ও সারা দেশের দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। এবার ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নতুন সাজে সেজেছে কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর। বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে নতুন রং। লেগেছে নতুন সাইনবোর্ডও। এখানে এবার ঈদের ছুটিতে লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছেন শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। সূত্র মতে, কুমিল্লা মহানগর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে বেশি ভিড় করেন। এখানে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। রয়েছে ময়নামতি যাদুঘর। জাদুঘরের পাশে রয়েছে বন বিভাগের পিকনিক স্পট। শালবন বিহারের পাশে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। এ ছাড়া কোটবাড়ী এলাকায় নতুন করে গড়ে উঠেছে কয়েকটি বাণিজ্যিক পার্ক। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কাজ চলছে। এর মাঝেও কিছু দর্শনার্থী ঘুরে ঘুরে শালবন বিহার ও জাদুঘর দেখছেন। তবে এর পাশের সড়কগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। বিভিন্ন স্থানে সড়কের গর্তে ছোট যানবাহনগুলো আটকে যাচ্ছে। চাঁদপুর থেকে আসা ইয়াছিন ইকরাম জানান, শালবন বৌদ্ধ বিহার এলাকাটি অনেক সুন্দর। পুরার্কীতি দেখার সঙ্গে সঙ্গে এখানে সবুজের সতেজতায় প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। এখানে গণশৌচাগার সংকট এবং সড়কের দুরবস্থা মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে। প্রয়োজনীয় হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হলে পর্যটনে কুমিল্লা আরও বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবে। কুমিল্লার শিক্ষাবিদ এহতেশাম হায়দার চৌধুরী বলেন, শালবন বিহারসহ অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো বেড়ানোর মতো দারুণ জায়গা। এগুলো সুরক্ষিত করা গেলে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে এখানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। তবে সড়কের দুরবস্থা আমাদের হতাশ করছে। আমতলী বিশ্বরোড এবং বার্ডের পাশের দুটি সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এ নিয়ে আমরা সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেছি। রাস্তা খারাপ হওয়ায় আমাদের রাজস্ব কমে যাচ্ছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ঈদের সময় যেন লোকজন চলাচল করতে পারে আমরা সড়কের সে ব্যবস্থা করে দেব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর