সোমবার, ৩ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ঈদ ছুটিতে ঘুরে বেড়ানো

খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ঈদে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে বের হয় অনেকে। এর প্রতি লক্ষ্য রেখে খুলনার বিনোদন কেন্দ্রগুলো গ্রহণ করেছে বিশেষ আয়োজন। এরই মধ্যে পার্কগুলোয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিভিন্ন ইভেন্ট রং করা ও বাড়তি আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থাও। খুলনার গিলাতলা চিড়িয়াখানা ও শিশু পার্ক এখন ভ্রমণপিপাসুদের কাছে প্রিয় একটি নাম। নিরাপত্তাবেষ্টিত খুলনার একমাত্র চিড়িয়াখানায় দেখা মিলবে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার,                চিতা, কুমির, হরিণ, বানর, হনুমান, ভল্লুক, অজগর সাপসহ নানা ধরনের পশুপাখি। জানা যায়, ঈদে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিনের মতো সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে চিড়িয়াখানা। একটু নির্মল বাতাস ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে মানুষ ছুটে আসে এখানে। ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে ক্লান্তিকর নাগরিক জীবনে নগরীর ৭ নম্বর ঘাটের নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে মনোরম বিনোদন স্পট। এখানে দৃষ্টিনন্দন বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে বসে নদীর নান্দনিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। প্রতি ঈদে মানুষের ঢল নামে খানজাহান আলী (রহ.) রূপসা সেতু এলাকায়। এখানে সপ্তাহব্যাপী মেলায় হরেকরকমের পণ্য দেখা যাবে। আশপাশে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে খাওয়া-দাওয়ার জন্য। খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্কটি ঈদ উপলক্ষে সাজানো হয়েছে নতুন করে। রং নষ্ট হয়ে যাওয়া রাইডগুলোয় লাগানো হয়েছে নতুন রং। পার্কের ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, রাইডগুলোর ছোটখাটো যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করা হয়েছে। আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেছে শিশু পার্ক কর্তৃপক্ষ। ঈদের প্রথম চার দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে পার্ক। প্রবেশমূল্য ৭০ টাকা। তবে ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনা টিকিটে প্রবেশ ও রাইডগুলোয় চড়ার সুযোগ পাবে। শহরের কোলাহল ছেড়ে খুলনার বটিয়াঘাটায় রূপসা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে শেখ রাসেল ইকো পার্ক। সুন্দরবনের আদলে সাজানো হয়েছে পার্কটি। খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। জোড়া গেট প্রেমকানন পুরনো বিনোদন স্পট। নির্জন এ পার্কে ঈদের ছুটিতে সপরিবার অনেকেই ঘুরতে আসেন। তা ছাড়া ঐতিহ্যবাহী হাদিস পার্ক, লিনিয়ার পার্ক, শান্তিধাম মোড়ের জাতিসংঘ শিশু পার্কও বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। এ ছাড়া ঈদের লম্বা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুরা একটু ক্লান্তি দূর করতে ছুটে আসবে সুন্দরবনে। সবুজ প্রকৃতি ও সৌন্দর্যে ভরপুর আকর্ষণীয় করমজল ঘুরেই গোটা সুন্দরবন সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন পর্যটকরা। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘ঈদে বিনোদন স্পটগুলোয় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেখানে লোকসমাগম বেশি হবে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি থাকবে।’

সর্বশেষ খবর