সোমবার, ৩ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোরআনে হাফেজরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছেন : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শিশু-কিশোর হাফেজরা কোরআন প্রতিযোগিতা করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছেন। তারা দেশের সম্পদ। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পিএইচপি-কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানের গ্র্যান্ড ফিনালে-২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ও রহিম আফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক নিয়াজ রহিম। স্বাগত বক্তব্য দেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের   প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সুফি মো. মিজানুর রহমান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই কিরাত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। কলেজে পড়ার সময়ও কিরাত প্রতিযোগিতা করে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মসজিদ তৈরি করেছে সরকার। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই কোরআনকে ভালোবাসব, দেশকে ভালোবাসব। সভাপতির বক্তব্যে সুফি মো. মিজানুর রহমান বলেন কোরআনের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে বিশ্বে শান্তি বিরাজ করবে। অনুষ্ঠানে এয়ার এশিয়ার চেয়ারম্যান কে এম মুজিবুল হক, বাংলা ক্যাটের নির্বাহী পরিচালক নাজমা হক, এনটিভির পরিচালক আশফাক উদ্দিন আহমেদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শাহ ইফতেখার তারিক। গত ২০০৯ সাল থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রিয়্যালিটি এ শো’র আয়োজন চলছে। গত জানুয়ারি থেকে দেশের ৬৪ জেলায় বাছাই শেষে ৩০ জন প্রতিযোগী নির্বাচন করা হয়। গত ১ রমজান থেকে তাদের নিয়ে শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা। গতকাল গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে চার প্রতিযোগীর মধ্যে তিনজনকে বাছাই করা হয়। প্রথম স্থান অধিকার করেন সাত বছর বয়সী নেত্রকোনার প্রতিযোগী আবু বক্কর সিদ্দিক মুসা। তাকে পুরস্কার হিসেবে চার লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পিরোজপুরের জুনাইদ আওরঙ্গজেবকে তিন লাখ টাকা ও তৃতীয় স্থান অধিকারী নরসিংদীর তানভীর আহমেদকে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া তাদের পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। বিজয়ী তিন প্রতিযোগীর ওস্তাদকে (শিক্ষক) মোটরসাইকেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

 

সর্বশেষ খবর