মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

মহাসড়কে দাপটে অবৈধ থ্রি-হুইলার

দেখার কেউ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

মহাসড়কে দাপটে অবৈধ থ্রি-হুইলার

মহাসড়কে থ্রিহুইলার নিষিদ্ধ হলেও রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে কোনো রকম বাধা ছাড়াই চলছে অবৈধ এসব গাড়ি। ঈদের ছুটিতে অনেকে বাড়ি ফিরেছেন। এ সুযোগে বাড়তি যাত্রী পরিবহনে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা।

গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের তারাগঞ্জের ইকরচালি থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে এসব যানবাহন। একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে রংপুর-কুড়িগ্রাম ও রংপুর-ঢাকা মহাসড়কেও। জানা গেছে,  জেলার প্রতিটি মহাসড়কেই অবাধে চলাচল করছে এসব যানবাহন। আইনের তোয়াক্কা করছেন না চালকরা। আবার কোথাও কোথাও প্রশাসন ম্যানেজ হয়ে থাকছে। ফলে অবৈধ যানবাহনের রমরমা অবস্থা চলছে। উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এবং মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার ২০১৭ সালে দেশের ২২টি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রংপুর-ঢাকা, রংপুর-দিনাজপুর ও রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কও রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর কিছুদিন মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু পরে আবার এগুলোর চলাচল শুরু হয়। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহেল বাকী বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে। যেখানে চেকপোস্ট বসানো হয়, চালকরা সেখান দিয়ে খুব একটা চলাচল করে না।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ হাইওয়ে ফাঁড়ি, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশসহ অন্যান্য হাইওয়ে পুলিশ নিজ নিজ এলাকায়       মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধে জোরালো ভূমিকা রাখছে না। এ সব ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর মহানগর সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, রংপুরের তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। রংপুর-দিনাজপুর ও রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে বিভিন্ন সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ এতে হতাহত হয়েছেন। তাই মহাসড়ক নিরাপদ করতে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর