শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

চার বছর পর শক্ত ভিতে দাঁড়াবে রাসিক : লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

চার বছর পর শক্ত ভিতে দাঁড়াবে রাসিক : লিটন

রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) নাগরিক সেবা বাড়াতে ৫০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছেন মেয়র। চীনের একটি প্রতিষ্ঠান এই মহাপরিকল্পনাটি করবে। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে থাকছে ৮টি ক্ষেত্র। সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাওয়া মেয়রের আশা আগামী চার বছর পর সিটি করপোরেশন একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

পরিচ্ছন্ন নগরীর তকমা পাওয়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন মাঝে খেই হারিয়েছিল। রাস্তাঘাট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সব ক্ষেত্রে চেনা দায় ছিল নির্মল বায়ুর শহরটিকে। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহীকে সবুজ নগরী করতে নেওয়া হয়েছিল ব্যাপক পরিকল্পনা। তারই অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে নির্মল বায়ুর শহর হিসেবে খেতাব পায় রাজশাহী। তবে ২০১৩ সালের পরবর্তী পাঁচ বছর ছেদ পড়েছিল নাগরিক সেবায়। মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলছেন, পর পর দুটি মেয়াদ পেলে ২০০৮ সালে নেওয়া পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল। এখন একটু সময় লাগবে। তবে যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন কাজ শেষ  হলে পাল্টে যাবে নগরীর চেহারা। তখন অন্য বিভাগীয় শহরগুলোও রাজশাহীকে অনুকরণ করবে। মেয়র লিটন বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বে নিয়ে নতুন করে এখন অনেক কাজ আবার শুরু করতে হচ্ছে। গত মেয়াদে যেসব কাজ নিয়েছিলেন, সেগুলোর অনেককিছু দ্বিতীয় মেয়াদে এসে আর আগের জায়গায় পাননি। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েই পরিকল্পিত নগরী গড়তে নিয়েছেন ৫০ বছরের পরিকল্পনা। তার সেই পরিকল্পনার মধ্যে থাকছে পদ্মা নদীর তীরে স্যাটেলাইট শহর, বিশ্বমানের হাসপাতাল, ইকোপার্ক, সাইন্সসিটি তৈরি, বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে নেওয়া, স্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ আবাসিক এলাকা। মেয়র জানান, এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পাওয়ার চায়না নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। পরিকল্পনাটি করতে অর্থও তাদের কাছ থেকে সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে। মূলত ২০৭২ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আধুনিক, বাসযোগ্য নগরী উপহার দিতে তিনি এমন পরিকল্পনা নিয়েছেন।  শুধু সবুজ আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হলে চলবে না। এখানে সৃষ্টি করতে হবে কর্মসংস্থানের। অর্থনৈতিক প্রাণ সঞ্চয় করতে উদ্যোগী হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক ব্যবসায়িক গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন। নতুন একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে রাজশাহীতে। সেখানে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিনিয়োগ করবে। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  মেয়র লিটন বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হয়ে আগের বারও রাজশাহীর জন্য কিছু করতে চেয়েছি। এখনো চেষ্টা করছি। আমি এমন কিছু করে যেতে চাই, যেন আগামী চার বছর পর রাজশাহী সিটি করপোরেশন একটা শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াতে পারে।’

সর্বশেষ খবর