শিরোনাম
রবিবার, ৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

নদী আর পাহাড়ের গভীর মিতালি কলমাকান্দায়

আলপনা বেগম, নেত্রকোনা

নদী আর পাহাড়ের গভীর মিতালি কলমাকান্দায়

নেত্রকোনার কলমাকান্দার রংছাতি ইউনিয়নের বড়ুয়াকোনা, মৌসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। যেখানে নদী আর পাহাড়ের গভীর মিতালি।

দেশের সীমান্ত জেলাগুলোর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। তেমনি একটি পর্যটন স্পট মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে। নেত্রকোনা জেলার সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দার রংছাতি ইউনিয়নের বড়ুয়াকোনা, মৌ গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। যেখানে নদী আর পাহাড়ের গভীর মিতালি। ওপরে পাহাড়ের ছাউনি তার নিচেই মহাদেব নামের পাহাড়ি নদী। যার পানি প্রবাহেই টিকে থাকা দায়। তারপরেও মানুষ নৌকায় পার হয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান। নৌকা হাতে টেনে পার করেন মাঝিরা। দেখে মনে হয় নদীর ওপর যেন পাহাড়ের ছাউনি। একপাড়ে বড়ুয়াকোনা সৌন্দর্য। নদী পার হয়েই অপরপাড়ে মৌ গ্রামের সৌর্ন্দয। মুখে মুখে শুনেই যারা যাচ্ছেন এসব এলাকার সৌন্দর্য দেখতে তারা মুগ্ধ হয়েই ফিরছেন। মানুষ গ্রামীণ সড়কে প্রতিনিয়ত এসব সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা যাওয়া করছেন কষ্ট করেই। কলমাকান্দা উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে মোট ৩৪২ টি গ্রাম রয়েছে। তার মধ্যে লেগুরা, খারনৈ ছাড়াও রংছাতি ইউনিয়নের এই বড়ুয়াকোনা সৌন্দর্য্য অনেক বেশি। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে জেলা এবং জেলার বাইরে থেকে পর্যটরা এক নজর দেখতে যান। পাহাড়ের নীচ দিয়ে দূরে চলে গেছে গ্রাম। বেশ কটি গ্রাম যেনো পাহাড়ের চূড়ায়।

 

কিভাবে যাবেন :  ঢাকা থেকে কলমাকান্দা যেতে সময় লাগবে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা। কলমাকান্দা উপজেলায় রেন্টিতলা বাজারে নেমে পূর্ববাজার, পশ্চিমবাজার ও মধ্যবাজার মিলিয়ে মোট ৯টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। দুটি সরকারি রেস্ট হাউস। আবাসিক হোটেলের দৈনিক ভাড়া ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা। হোটেলগুলোর পাশেই রয়েছে খাবার হোটেল। হোটেল গুলোর সামনে বা পূর্ববাজার পাঁচগাও মোরে বিভিন্ন যান রয়েছে। ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক রয়েছে। একবার যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল দুজন হিসেব করে নেবে ১০০ টাকা। ইজিবাইকে গেলে লাগে প্রতিজন ৩০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর