রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নবীনবাগের একটি বাসায় আলেয়া আক্তার হোসনা (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের দিন রাত ১০টা থেকে পরদিন বেলা ১২টার মধ্যে তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খিলগাঁও থানার এসআই শেখ জসিম উদ্দিন জানান, প্রেম করে দেড় বছর আগে আলেয়ার সঙ্গে চা দোকানি মনির হোসেনের বিয়ে হয়। গত ছয় মাস ধরে তারা নবীনবাগে থাকত। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। স্বামী ও অন্য কেউ আলেয়ার মুখে বিষ খাইয়ে বা শ্বাসরোধে বা অন্য কোনো ভাবে তাকে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে আলেয়ার স্বামী মনির পলাতক রয়েছে। পুলিশ ও স্বজনরা বলছেন, ঈদের দিন আলেয়ার স্বামী মনির তার গলার চেইন, কানের দুল জোর করে নিয়ে তার সতিনকে দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। মনির তার স্ত্রীকে মারধর করে। খবর পেয়ে আলেয়ার বাবা আবদুল আউয়াল মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় দিয়ে আসেন। পরদিন দুপুরে ওই বাসার খাটের ওপর থেকে আলেয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মনির ও আলেয়া উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে এটি। মনির চা দোকানি ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করত এবং মাদকাসক্ত ছিল।
বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু : যাত্রাবাড়ী থানার এসআই জহিরুল জানান, গতকাল ভোরে যাত্রাবাড়ী সাইনবোর্ড এলাকায় বাসের ধাক্কায় হালিমা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বাস ও এর চালককে আটক করা হয়েছে। মৃতের ছেলে হাবিবুর রহমান জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার মুরমা গ্রামে। গতকাল সিলেট থেকে ভাগ্নির পরিবারকে নিয়ে মা বাড়িতে ফিরছিলেন। বাস থেকে সাইনবোর্ড এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের সামনে তারা নামেন। এ সময় একটি বাস এসে মাকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়েন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। মৃতের স্বামীর নাম আজগর আলী। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী ছিলেন হালিমা বেগম।