শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাজেটে রংপুর চেম্বার হতাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা ও অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব না থাকায় রংপুর চেম্বার হতাশা প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে গতকাল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, বিশাল ঘাটতির প্রস্তাবিত স্মার্ট বাজেটে ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ (এসডিজি) অর্জন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপক পরিকল্পনা থাকলেও এবং সারা দেশে প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়লেও  রংপুর বিভাগে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দারিদ্র্য। তাই এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্পায়নে আলাদা ঋণ, কর ও ভ্যাট নীতি প্রণয়ন, বোরো মৌসুমে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়া কৃষকদের স্বস্তি দিতে বিশেষ প্রণোদনা, রংপুরে প্রস্তাবিত স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও আইটি পার্ক স্থাপন, উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে ‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি’ গঠনের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত ছিল।

তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়ে অর্থ পাচার রোধ, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তরুণদের জন্য স্বল্প সুদে ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ নামে ঋণ তহিবল গঠন, প্রবাসীদের বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ, অনুন্নত এলাকা, চরাঞ্চল এবং প্রান্তিক এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য বিশেষ বরাদ্দ, দেশের কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে কৃষি খাতে অধিক হারে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের বিদ্যমান শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এসব কারণে মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণমূলক ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবমুখী বলে মনে করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর