শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঈদযাত্রায় সড়কে ১৫ শিশুসহ নিহত ১৯৭

মোটর বাইকে প্রাণ গেল ৪৫ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪৮টি। এতে ১৯৭ জন নিহত এবং ৪০২ জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে শিশু ১৫ এবং নারী ২২ জন। ৪৯টি মোটর বাইক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৪৫। আর ৫৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাসড়কে। ৯২টি ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এ চিত্র তুলে ধরা হয়। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে পরে মোট ১৪ দিনে সারা দেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে মোট ১৫৩টি দুর্ঘটনায় ২০১ জন নিহত এবং ৪০৯ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ৩টি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়- ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত গতি এবং বার বার ওভারটেক করার প্রবণতা, অদক্ষ চালকের হাতে চুক্তিতে যানবাহন চালাতে দেওয়া, প্রতিযোগিতামূলক ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো, সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ইজিবাইক ইত্যাদি তিন চাকার যানবাহন ও মোটর বাইকের বেপরোয়াভাবে চলাচল এবং যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঈদে ঘরমুখী যাত্রায় দীর্ঘ ছুটির সুবিধায় সড়ক পথের যাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা যায়নি। রাজধানীর মধ্যেও বাস ও সিএনজি অটোরিকশা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মোটর বাইকের সংখ্যা ছিল বেশি। লঞ্চ সার্ভিস পর্যাপ্ত থাকার পরও ঈদের আগের দিন সদরঘাট টার্মিনালে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এতে করে একটি পরিবারের কয়েকজন সদস্যের পানিতে পড়ে যাওয়া এবং টিকিট থাকা সত্ত্বেও অনেকে লঞ্চে উঠতে পারেনি। ডেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও ছিল। অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে বহু যাত্রী ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর