শিরোনাম
শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
বাজেট : ২০১৯ - ২০

সেই তামাকপণ্যে শুল্ক বৃদ্ধিতে অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা

প্রস্তাবিত বাজেটে ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় তামাকবিরোধী সংগঠন ‘আত্মা’ ও ‘প্রজ্ঞা’ অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করেছে। সংগঠন দুটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে করারোপের ক্ষেত্রে প্রচলিত ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বাতিলের জন্য তামাকবিরোধী আন্দোলনকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিয়ে বাজেটে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩০ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে সম্পূরক    শুল্ক হবে ৫০%। ওজনের ওপর ভিত্তি করে জর্দা ও গুলের মূল্য নির্ধারণ করার ফলে এসব পণ্য থেকে কর আদায়ের জটিলতা কিছুটা হলেও সহজ হবে এবং আদায়কৃত করের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ তামাক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীকে জর্দা-গুল ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিজ্ঞপ্তি

অপ্রক্রিয়াজাত তামাকের বিদ্যমান ১০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত তামাকপণ্য রপ্তানি উৎসাহিত করতে শূন্য শতাংশ রপ্তানি শুল্ক বাজেটে অব্যাহত রাখায় হতাশা ব্যক্ত করে ‘আত্মা’ ও ‘প্রজ্ঞা’ বলেছে, এটা চরম জনস্বাস্থ্যবিরোধী পদক্ষেপ। বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশকে তাদের উৎপাদন ভূমি হিসেবে ব্যবহার করায় তামাক চাষ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। সুতরাং এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের উৎপাদনকেই মূলত উৎসাহিত করা হবে।

প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, ‘নি¤œস্তরে সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে শলাকা প্রতি মাত্র ২০ পয়সা বা ৫.৭ শতাংশ। অথচ এ সময়ে জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১১.৩২ শতাংশ। সিগারেট ধূমপায়ীর প্রায় ৭২ শতাংশই নি¤œস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে এই স্তরের সিগারেটের প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে এবং ব্যবহার বাড়বে। অন্যদিকে, বাজেট প্রস্তাবনায় মূল্য স্তরভেদে সিগারেট কোম্পানিগুলোকে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত আয় বৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। বিড়ির শলাকা প্রতি ৬ পয়সা দাম বৃদ্ধি এর ব্যবহার কমাতে কোনো ভূমিকাই পালন করবে না। তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু এবং অসুস্থতার বোঝা মাথায় নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলোকে লাভবান করার বাজেট প্রস্তাবনা চরম হতাশাজনক।’

‘আত্মা’ ও ‘প্রজ্ঞা’ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক-নীতি গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করলেও ওই নির্দেশনার কোনো প্রতিফলন প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যায়নি। এ অবস্থা তামাকবিরোধীদের জন্য হতাশাজনক। বিজ্ঞপ্তি

সর্বশেষ খবর