রবিবার, ১৬ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

সীমান্তে হত্যা অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু : বিএসএফ প্রধান

বিশেষ প্রতিনিধি

গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সীমান্তে হত্যাকা- বেশি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএসএফের মহাপরিচালক রজনীকান্ত মিশ্রা। তবে কেন সীমান্তে হত্যাকা- ঘটছে, তা খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান তিনি। এগুলো হত্যাকা  নয়, অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু বলেও তিনি মন্তব্য করেন। গতকাল সকালে বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী ৪৮তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সীমান্ত হত্যার বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, মানুষের জীবন রক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সীমান্ত এলাকায় এই হত্যাকা- কারও কাম্য নয়। বিএসএফ প্রথমেই আগ্নেয়াস্ত্র যাতে ব্যবহার না করে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু কখনো কখনো অবস্থা এমন হয়, চোরাচালানকারিরা লাঠি, পাথর, দা নিয়ে সীমান্ত রক্ষাকারীদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। আমরা সীমান্তে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরি। কিন্তু সীমান্তরক্ষাকারীদের ওপর হামলা হলে অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফ           প্রধান বলেন, গত বছর সীমান্তে মাত্র সাতটি হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশের, বাকি ছয়টি ভারতের। তবে এ বছর প্রথম পাঁচ মাসে এর থেকে বেশি ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন উগ্রবাদীর কার্যক্রম মোকাবিলায় দুই দেশ কীভাবে কাজ করে, জানতে চাইলে বিএসএফ মহাপরিচালক রজনীকান্ত বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে আমাদের মধ্যে খুব বেশি তথ্যের আদান-প্রদান হচ্ছে। আমরা কোনো তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিজিবিকে জানাই। বিজিবি কোনো তথ্য পেলে আমাদের জানায়। এ তথ্য অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় অভিযানও পরিচালনা করা হয়।

ভারতের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর সদস্যরা আশ্রয় নিয়ে সংগঠিত হয়। এরপর বাংলাদেশে হামলা চালায়। এ বিষয়ে বিএসএফ মহাপরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উগ্রবাদ উভয় রাষ্ট্রের জন্যই সমস্যা। ভারত থেকেও বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশ করছে। এর উৎস কোথায় জানতে চাইলে বিএসএফ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কোনো দেশ এর জন্য দায়ী নয়। ইয়াবার জন্য তৃতীয় একটি দেশ দায়ী। ভারতেও এর আসক্ত রয়েছে।

ফেলানী হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএফ প্রধান বলেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতে ট্রায়াল চলছে। প্রশ্ন-উত্তর পর্ব শুরুর আগে লিখিত বক্তব্যে বিজিবি প্রধান বলেন, দুই বাহিনীর মধ্যে যাতে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ থাকে, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিএসএফের দিল্লি থেকে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শুরু করে সেটি আমাদের ঢাকায় বিজিবি সদর দফতরে এসে শেষ হবে। চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর বিজিবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটা বিএসএফ করবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে উভয় পক্ষ সীমান্তে নতুন ক্রাইম ফ্রি জোন চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করে কুমিল্লা এলাকায় দ্বিতীয় ক্রাইম ফ্রি জোন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর