বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

রূপপুর প্রকল্পে বালিশ দুর্নীতিতে সংসদীয় কমিটি ক্ষুব্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কেনা বালিশের মূল্য ও পরিবহন ব্যয় নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্থপতি মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় গতকাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আ ফ ম রূহুল হক। বৈঠকে প্রসঙ্গটি প্রথম তোলেন ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না (সিরাজগঞ্জ-২)। তিনি বলেন, একটি বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা উঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা কীভাবে হয়? কমিটির সভাপতি  এ বিষয়ে বিজ্ঞানমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানকে ব্যাখ্যা দিতে বলেন। 

মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, বালিশ তাদের বিষয় নয়। তিনি বলেন, আমরা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে কাজ দিয়েছি। তাদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেওয়ার আগে আমাদের কিছু করার নেই। এ নিয়ে আদালতে রিট ও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এটা নিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। আমাদের তো কাজ শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে হাবিবে মিল্লাত সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা সবাই অখুশি। মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম, তারা বলেছেন, যেহেতু কাজ দিয়েছি একটা মন্ত্রণালয়ের, তাদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেওয়ার আগে দায় তাদেরই। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, হাবিবে মিল্লাত মুন্না, মোজাফ্ফর হোসেন, শিরীন আহমেদ, সেলিমা আহমাদ এবং হাবিবা রহমান খান। বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। বৈঠক সূত্র জানায়, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে কেনাকাটায় দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

সভায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য ২১টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা ওইসব ভবনে থাকবেন। এসব ভবন নির্মাণের কাজ করছে গণপূর্ত বিভাগ। তারা তাদের মতো করে কাজ করছে। বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় শুধু প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিচ্ছে। তখন কমিটি বলে, গণপূর্ত নিজেদের ইচ্ছামতো খরচ করবে আর বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় তদারক করবে না!

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর