শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

নগর বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে জেলা বিএনপির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরুল আনোয়ারের বাসায় হামলার অভিযোগে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। এতে নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম তালুকদারের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার রাতে নুরুল আনোয়ার বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলাটি করেছেন। চান্দগাঁও থানার               ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম নগরে বিএনপি নেতা নুরুল আনোয়ারের বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

 ওই বিএনপি নেতার অভিযোগ, নগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশে নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। তবে ডা. শাহাদাত এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকালে নগরের চান্দগাঁও থানার কে বি আমান আলী রোডের মনোরমা আবাসিক এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা নুরুল আনোয়ারের বাসায় হামলা হয়। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতির পাশাপাশি তিনি চন্দনাইশ পৌর বিএনপির সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন।

এদিকে নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক সভায় সাংগঠনিক কমিটি গঠনে আমি শাহাদাত সাহেবের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে তার সম্পর্কে বক্তব্যে কিছু কথা বলি। অভ্যন্তরীণ সভার এসব বক্তব্য সেখানকার কেউ শাহাদাতকে পৌঁছে দেন। এতে আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন তিনি। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহাদাত সাহেব আমাকে ফোন করে আমি কেন তার বিরুদ্ধে কথা বলেছি জানতে চান। এ সময় তার সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়। এরপর তিনি আবারও ফোন করে লালদীঘির পাড়ে সুগন্ধা হোটেলে আমার অফিসে আসার কথা বলেন। আমি অপেক্ষা করলেও উনি আসেননি। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি আবারও ফোন করে আমাকে হুমকি দেন। এর ঘণ্টাখানেক পর আমার বাসায় আকস্মিকভাবে হামলা হয়।’

নুরুল আনোয়ারের দাবি, গাজী সিরাজ উল্লাহ বুধবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে করে তার বাসার সামনে যান। এ সময় সেখানে আরও কমপক্ষে ৩০ জন জড়ো হন। ৮-১০ জন বাসার ভিতরে ঢুকে প্রথমে কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেন। তারপর সেখানে ভাড়াটিয়ার একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করেন। কয়েকটি বাসার কাচের জানালা ভাঙচুর করেন। বাসার সামনে রাখা ফুলের টবসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ করেন। প্রায় ১০ মিনিট ধরে তা-ব চালিয়ে তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।

এ বিষয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আনোয়ার সাহেব রাজনীতি করেন গ্রামে, আমি করি শহরে। আমার সঙ্গে তো উনার কোনো বিরোধ নেই। আমি কেন হামলার নির্দেশ দেব! আমি শুনেছি এলাকার লোকজনের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে উনার বিরোধ আছে। সেই বিরোধ নিয়ে উনার ছেলের সঙ্গে এলাকার কিছু লোকের সমস্যা হয়েছে। এরপর হামলা হয়েছে। উনার বাসার সামনে যদি সিসি ক্যামেরা থাকে, সেখানে দেখা হোক, আমি হামলার সময় ছিলাম কিনা।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর