শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনার দাবি সংসদে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনার দাবি সংসদে

দেশের আর্থিক খাতের দুর্নীতির সমালোচনা করে এতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। সরকারি দলের সদস্যরাও বাজেটের সমালোচনা করে বলেছেন, বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, ঋণ মওকুফ করছেন, গাড়ি-বাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন। অথচ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ওপর হাত দিলেন, এটা মানতে পারব না। জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা এসব কথা বলেন। অধিবেশনে পর্যায়ক্রমে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রস্তাবিত বাজেটে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ওপর উৎসে কর বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এটা তো (সঞ্চয়পত্র) প্রধানমন্ত্রীর স্কিম, এখানে হাত দিলেন কেন? এসব সঞ্চয়পত্র তো কেনেন গ্রামের বিধবা, দুস্থ ও অসহায় মহিলারা। বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, ঋণ মওকুফ করছেন, গাড়ি-বাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন। অথচ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ওপর হাত দিলেন, এটা মানতে পারব না। তিনি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ন্যাশনাল হাসপাতালটি ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধু শেখ  মুজিবুর রহমান এই হাসপাতালে প্রথম বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এ হাসপাতালের উন্নয়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হয়েও কিছু হচ্ছে না। মন্ত্রীদের কাছে গিয়ে কিছু পাই না।  এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাসপাতালটির উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। জাপার এমপি সালমা ইসলাম বলেন, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, এর সুফল সবাই পাচ্ছে। কিন্তু দেশের ব্যাংকিং খাত বা আর্থিক খাতের অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী। অনেকে আবার অর্থ বিদেশে পাচার করছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।  তা না হলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সালমা ইসলাম বলেন, ব্যাংকে টাকা আছে, কিন্তু লুটের জন্য নেই। এই লুটপাটের চিন্তা এখন বাদ দিতে হবে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় তিনি যমুনা গ্রুপের কোনো খেলাপি ঋণ নেই বলেও উল্লেখ করেন।

কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি : মো. ইসরাফিল আলমের (নওগাঁ-৬) লিখিত প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি। এর মধ্যে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৬০ হাজার ৯৬১ জন ও মহিলা ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৩৭ জন।

এ ছাড়া নূর মোহাম্মদের (কিশোরগঞ্জ-২) লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ সংসদে জানান, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় ব্যাপকহারে কর্মী প্রেরণের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

 এ মাসেই মালয়েশিয়ার সারওয়াক প্রদেশে নতুন কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া খুব শিগগিরই এসব দেশে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো শুরু হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর