রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

‘মার্কিন নাগরিক’ দাবি করে প্রতারণা, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি গ্রেফতার

লাবলু আনসার, ওয়াশিংটন ডিসি

শিক্ষার্থীর ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা চাঁদপুরের আবু নাসের হোসেন নিজেকে মার্কিন নাগরিক দাবি করে পাসপোর্টের আবেদন করার পর গ্রেফতার হয়েছেন। এ প্রতারণার অভিযোগে তাকে গত মে মাসে গ্রেফতার করা হয়।

আবু নাসের নিউইয়র্কের বাফেলো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির পর ২০০১ সাল পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে আতিনি ডিসিতে ১৩২৫ জি স্ট্রিট, নর্থ-ওয়েস্ট#৫০০ ঠিকানায় ‘প্রফাউন্ড র‌্যাডিয়েন্স ইনক’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ট্যাক্স অ্যান্ড একাউন্টিং সার্ভিসের এই প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কাজ করছিলেন। ভিসা সংগ্রহের সময় প্রদত্ত বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর ছিল এল০৭৯৪***। ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তিনি একটি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। সে সময় জমাকৃত আবেদনে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন বলে উল্লেখ করেন। একই বছরের ২৮ এপ্রিল তিনি উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী হিসেবে আই-৫২৬ ফরমে আবেদন করেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে। সেখানেও নিজেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী হিসেবে উল্লেখ করেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর আবু নাসের হোসেন ডিসিতে ইউএস পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করেন। সে সময় তিনি নিজেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণকারী নাগরিক হিসেবে দাবি করেন। এর প্রায় দুবছর পর আবু নাসের ডিসি অথরিটির কাছে বিবৃতি দেন যে, তিনি সেখানকার জন্মগত নাগরিক। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর পুনরায় একই দাবি করেন। ২০১৭ সালের ১২ জুনেও আবু নাসের একই তথ্যের দিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীসহ ফেডারেল  গোয়েন্দাদের কাছে। গোয়েন্দারা তার কাছে নিশ্চিত হতে চান যে, এর আগে স্টুডেন্ট ভিসা ও ট্যুরিস্ট ভিসার জন্যে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে কয়েকবার আবেদন, এক পর্যায়ে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা এবং ডিসি থেকে আইডি লাভ করতে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তথ্য-প্রমাণ জমা  দেওয়ার পরও কীভাবে নিজেকে জন্মগত আমেরিকান হিসেবে দাবি করছেন। আবু নাসের নিজের এ তথ্য স্বীকার করেননি।

তার মা কখনই যুক্তরাষ্ট্রে না থাকা সত্ত্বে¡ও তাকে সশরীরে উপস্থিতি দেখিয়ে নোটারি পাবলিকের স্বাক্ষর নিয়ে তা পাসপোর্ট দফতরে সাবমিটের ঘটনাও ঘটিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে আবু নাসেরের জামিনের চেষ্টা চলছে। তবে অভিবাসনের মর্যাদা না থাকায় ফেডারেল  কোর্ট থেকে জামিন লাভের পর আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) তাকে ডিটেনশন  সেন্টারে নিতে পারে বলে ইমিগ্রেশন এটর্নিরা মনে করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর