সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাবেক মেয়র কামাল ও তার ছেলের দুর্নীতি তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামাল ও তার ছেলে কামরুল আহসান রূপনের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ ওঠেছে রূপনের মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করেও বিল গ্রহণ, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে ১০ ভাগ হারে উৎকোচের বিনিময়ে ২০৮ প্রকল্পের টাকা পরিশোধসহ দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কাগজপত্র চেয়েছে দুদক। এছাড়া সিটি করপোরেশনের সাবেক  তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মোতলেব হাওলাদারের বিরুদ্ধে অবৈধ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের সনদ গ্রহণ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করছেন দুদক বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। দুদক সূত্র জানায়, সাবেক মেয়র কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার ছেলে রূপনের চারটিসহ ৬টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিকদার এন্টারাপ্রাইজ, মিতুসি এন্টারপ্রাইজ, মোমেন সিকদার, রশিদ অ্যান্ড সন্স, এরিমা ট্রেডিং করপোরেশন এবং মেসার্স জেড এ এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে অবৈধভাবে ঠিকাদারী কাজ দিয়েছেন।

এরমধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া আরসিটি গার্ডার ব্রিড (সিটি গেট) ও আরসিসি গার্ডার ব্রিজ (দপদপিয়া), নথুল্লাবাদ-আমতলা সড়কের সৌন্দর্য বর্ধন, সিমেন্ডেট সিটি এরেঞ্জমেন্ট বৃক্ষ রোপণ, বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স, সিসি টিভি স্থাপন প্রকল্প, শেরে বাংলা সড়ক বিসি দ্বারা উন্নয়ন (নথুল্লাবাদ থেকে কুদঘাটা পর্যন্ত), রাজাবাহাদুর সড়কের সৌন্দর্য বর্ধন এবং বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন গ্রিন সিটি পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই বিল তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাবেক সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল এবং তার ছেলে কামরুল আহসান রূপনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে রিং দেওয়া হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর