সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

সোনার বাংলা গড়ার দাবি সরকারি দলের, সমালোচনা বিরোধীদের

সংসদে বাজেট নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোনার বাংলা গড়ার দাবি সরকারি দলের, সমালোচনা বিরোধীদের

জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দেশ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরেন। অন্যদিকে আর্থিক খাতে দুর্নীতির কারণে বিনিয়োগ ও ব্যবসাসহ দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলের সদস্যরা।

গতকাল জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অধিবেশনে পর্যায়ক্রমে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া।

প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগ তার জন্মলগ্ন থেকে জনগণের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছে। বঙ্গবন্ধু তার নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছয় দফা ছিল এদেশের স্বাধীনতার ম্যাগনাকার্টা। কিন্তু সিরাজুল আলম খান ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ছয় দফা, এগার দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ’৭০-এর জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতিকে অন্য কেউ কিছু দিতে পারেনি। অন্যরা এ দেশে শাসক হিসেবে এসেছেন। তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন, পাকিস্তানের তাবেদারি করেছেন।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু কীভাবে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলির আবেগঘন বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক বড় বড় নেতা আসবেন, যাবেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা কোনো দিন আসবেন না। তার হৃদয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া আর অন্য কিছু ছিল না। তিনি শুধু বাংলাদেশ, এশিয়া নয়, সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন। এ সময় তিনি বাজেটকে সমসাময়িক ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে উল্লেখ করে বলেন, এ বাজেটে কিছু কিছু বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী সেগুলোর দিকে নজর দিয়ে তা ঠিক করবেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম সিরাজুল আলম খানের নাম উল্লেখ না করে বলেন, অনেকে বাংলাদেশের জাতির পিতা সাজতে চায়। তারা কোথায় ছিল? জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেন, আমি ৭ মার্চ যদি শপথ না নিতাম তাহলে বিএনপিসহ বিরোধী দলে যারা পরবর্তীতে শপথ নিয়েছেন, তারা নিতেন কিনা সন্দেহ ছিল। তিনি  দেশে বর্তমান ‘ঋণখেলাপির পরিমাণ একটি বাজেটের মতো’ মন্তব্য করে তা আদায়ের ব্যবস্থার আহ্বান জানান। তা না হলে উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তিনি এ সময় ঘুষ দেওয়া ও না নেওয়ার জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান।

৪০ ভাগ কমিশন নেন চিকিৎসক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ডায়াগনসিসের ৪০ ভাগ কমিশন চিকিৎসক নেন। এটা কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা হতে পারে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জোয়াহেরুল ইসলাম প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর