সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

জন্মদিনে ভালোবাসায় সিক্ত ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

জন্মদিনে ভালোবাসায় সিক্ত ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

‘আমার জীবন ও জীবিকার মধ্যে কোনো ফারাক দেখতে পাইনি। কারণ, আমার শিক্ষকতা সেটাও সাহিত্যের, আর আমার লেখা তাও সাহিত্য। এই দুয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। লেখাই আমার কাজ। আমার জীবন এবং জীবিকা এক জায়গায় মেলাতে পেরেছি।’ কথাগুলো বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। গতকাল ছিল দেশসেরা এই লেখক, প্রাবন্ধিক এবং শিক্ষকের ৮৪তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আদর্শে সুদৃঢ় এই মানুষটিকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়  গণফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘ, সাওল হার্ট, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়নের নেতাসহ তার অসংখ্য গুণগ্রাহী।  

শুভেচ্ছার জবাবে এবং নিজের লেখার শক্তির উৎস সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের সমাজ খুবই অন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ছোটবেলা থেকে আমি দারিদ্র্য দেখেছি। দারিদ্র্যের কারণে আত্মহত্যা করতে দেখেছি। সেটা স্বাধীনতা-পূর্বের সময়কার কথা। কিন্তু স্বাধীনতার পর এই দেশে আত্মহত্যার ঘটনা দেখেছি। ছোটবেলায় আত্মহত্যাকারীর ঝুলন্ত লাশ দেখে তার মৃত্যুর কারণ বুঝতে পারিনি। কিন্তু জীবনের একটা সময় এসে সেই মৃত্যুর কারণ আমি বুঝতে পারি।

মার্কসবাদী এই লেখক মনে করেন, সম্পদের ব্যক্তিমালিকানাই সমাজের দুরবস্থার জন্য দায়ী। তাই সমাজে সম্পদের ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মার্কসবাদী সমাজতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, সমাজতন্ত্র তো বর্তমানের জন্য নয়, সমাজতন্ত্র ভবিষ্যতের জন্য। বর্তমানে পুঁজিবাদের ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। কারণ বিশ^জুড়ে মানুষ নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তাই পুঁজিবাদের ধ্বংস থেকেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে সম্পত্তির ব্যক্তিমালিকানা।

অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ‘নতুন দিগন্ত’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর