সোমবার, ২৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাজেটে সংখ্যালঘুদের জন্য ২০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি বছরের মতো এবারের অর্থবছরের বাজেটেও সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা। তারা বলছেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেটের বিভিন্ন খাতে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর চেয়ে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। এই বৈষম্য নিরসনে এবারের বাজেটে সংখ্যালঘুদের জন্য ২০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হোক। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ম-লীর সদস্য নিমচন্দ্র ভৌমিক। উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, গত কয়েক বছরের বাজেট পর্যালোচনায় মাথাপিছু বরাদ্দের চিত্রটি করুণ ও দুর্ভাগ্যজনক। প্রকল্পবাদে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুযায়ী, ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর মাথাপিছু বরাদ্দ যেখানে ১১ থেকে ১২ টাকা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাথাপিছু বরাদ্দ সেখানে মাত্র ৩ টাকা। তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্ম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। জনসংখ্যার ব্যাপক অংশ হিসেবে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় অবশ্যই মোট বরাদ্দের বড় অংশ পাবে। কিন্তু মাথাপিছু বরাদ্দের ক্ষেত্রে কেন বৈষম্য হবে? আমরা মনে করি, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেটে বিদ্যমান বৈষম্য রেখে দেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সমভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টগুলোকে ফাউন্ডেশন করা, চলতি অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া, বিগত চার দশকে বৈষম্য নিরসনে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য শুমারি করা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে বরাদ্দ দেওয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর