মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ভূমধ্যসাগরে ৩৭ জনের মৃত্যু

জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা জানতে চায় হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে ৩৭ বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষকে মৌখিকভাবে এ নির্দেশ দিয়ে রিট আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ মুলতবি করেছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এমদাদুল হক সুমন। পরে আইনজীবী বাশার জানান, জড়িতদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ কাজের সঙ্গে জড়িত সিলেট ও নোয়াখালীর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে কি না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপের বিষয়টি জানাতে বলা হয়েছে।

এর আগে ১৬ জুন ওই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং ওই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এমদাদুল হক সুমন। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসীকল্যাণ সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সিলেট ও নোয়াখালীর এসপিকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে যে ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত পাচার-সংক্রান্ত ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।

৯ মে ভূমধ্যসাগরে তিউনিশিয়ার উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সব প্রতিবেদনে প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সিসহ ১৫ পাচার চক্র ও নোয়াখালীর তিনভাই চক্রের অবৈধভাবে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে। এরপর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের বরাবর আইনি নোটিস পাঠান এ আইনজীবী। কিন্তু নোটিসের কোনো জবাব না পেয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর