মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে চার্জ কাটার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

প্রি-পেইড মিটারে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ, মিটার স্থাপন ও বিভিন্ন চার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেওয়া, গ্রাহককে রিবেট (অগ্রিম বিল প্রদানে অর্থ ফেরত) না দেওয়াসহ নানা হয়রানির বিষয়ে প্রশ্ন বাণে জর্জরিত হয়েছেন ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) কর্মকর্তারা।

গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে ভোগান্তি নিয়ে গ্রাহক ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ওজোপাডিকো, খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শফিক উদ্দিন। এসময় প্রি-পেইড মিটার বিষয়ে ৫ দফা ব্যাখ্যা প্রদান করেন ওজোপাডিকো কর্মকর্তারা।

জানা যায়, বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওজোপাডিকো খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি  জেলায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৪টি প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করেছে। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সময় কোনো অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে না জানানো হলেও প্রতিমাসে এখন মিটার স্থাপন, ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাটসহ বিভিন্ন চার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওজোপাডিকো’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বিদ্যুৎ কোম্পানির অর্থে পরিবার নিয়ে বিদেশ সফর, প্রি-পেইড মিটার অপারেট করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত লক হয়ে যাওয়া, প্রতিবাদ করলে গ্রাহককে হয়রানি, বিদ্যুতের অগ্রিম বিল প্রদানের ক্ষেত্রে আদেশ অনুযায়ী ১ শতাংশ হারে প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা গ্রাহককে রিবেট ফেরত না দেওয়াসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

জবাবে ওজোপাডিকো, খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শফিক উদ্দিন বলেন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নির্ধারিত হারে বিদ্যুতের মূল্যহার ও চার্জ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ চুরি বা মিটার টেম্পারিং করতে গেলে এটি লক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে গ্রাহককে ডিসকানেকশন ফি দিয়ে মিটার চালু করতে হবে। তবে একই মাসে একাধিকবার মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ আদায় করা হয় না। এছাড়া রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে সিঙ্গেল ফেস মিটারের জন্য মিটারের মাসিক ভাড়া ৪০ টাকা হিসেবে আদায় করা হচ্ছে।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর