বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

নামমাত্র বিরতিহীন বনলতা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তানিয়া সুলতানা। বনলতা এক্সপ্রেসে চড়ে কমলাপুর থেকে রওয়ানা হন দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে। রাজশাহী স্টেশনে এসে পৌঁছান সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে। ট্রেনটি রাজশাহীতে পৌঁছাতে বিলম্ব ৪২ মিনিট। তানিয়া সুলতানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা থেকে আসার সময় ট্রেনটি সাত জায়গায় থেমেছে। ক্রসিংয়ের জন্য দেরি হলেও ধীরগতিতে চলে ট্রেনটি। শুধু তানিয়া সুলতানা না, এরকম ক্ষোভ আরও অনেক যাত্রীর। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চালু করা বনলতা এক্সপ্রেস এখন যাত্রীদের কাছে নামেই শুধু ‘বিরতিহীন’ হয়ে পড়েছে। এই রেলরুটে আগে থেকে চালু থাকা অন্য তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন ১০ থেকে ১২টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে গন্তব্যে পৌঁছে। প্রথম কয়েকদিন বিরতি ছাড়াই চলাচল করে ট্রেনটি। তা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন যাত্রীরাও। তবে সপ্তাহ না যেতেই ট্রেনটি স্টেশন ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে যাত্রাবিরতি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। প্রথম দিকে চার থেকে পাঁচবার থেমে গন্তব্যে পৌঁছালেও তা ক্রমে বাড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হয়তো দু’একদিন কিছু সময় দেরি করতে পারে। তবে বনলতা এক্সপ্রেস অধিকাংশ দিনই সাড়ে চার ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।

 এ নিয়ে আমাদের কাছে কোনো যাত্রী এখনো অভিযোগ করেনি। কেউ যদি অভিযোগ করে, তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী রেলরুটে লাইন সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়েই বনলতা গন্তব্যে পৌঁছাবে।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর