বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
বাজেট ২০১৯ - ২০

২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যয় লাখ কোটি হয় কী করে

সংসদে বাজেট আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদে সরকার ও সরকারের শরিক দলের সদস্যরা ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ আদায় ও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া কোনো কোনো এমপি বিভিন্ন খাতে ধনীদের সুবিধা দেওয়া এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোয় সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বেড়ে ১ লাখ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। কী কারণে?

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সরকারি দলের ইসরাফিল আলম, বেগম ফজিলাতুন সাগুফতা ইয়াসমিন, জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল, বিএনপির হারুন-উর-রশীদ, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভা-ারী প্রমুখ।

জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দীন খান বাদল বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোয় কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা কি তামাশার দেশ পাইছেন? ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, সেটা বেড়ে ১ লাখ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। কী কারণে? কেন? যারা প্রজেক্ট বানায়, তাদের ধরে এনে পেটানো উচিত!’ বিএনপির এমপি হরুন-উর-রশিদ বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতি দেশ। এই বাজেটে শেয়ারবাজার লুটকারীদের বিচারের কথা নেই। ব্যাংক লুটেরা, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা এই বাজেটে। নজিবুল বশর মাইজভা-ারী ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি, খেলাপি ঋণ গ্রহীতাদের প্রতি সরকারের নীতির সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে নির্দলীয় করারও দাবি জানান। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমি জানি বিড়ি-তামাক খাওয়া মানুষের মৃত্যুর কারণ। কিন্তু সিগারেটকে ট্যাক্স সুবিধা দিয়ে বিড়িকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না। আমার এলাকায়ই (রংপুরে) প্রায় ৫০-৬০ হাজার বিড়ি শ্রমিক কাজ করে। বিকল্প চাকরির একটা ব্যবস্থা না করে তাদের সরিয়ে দিলে তারা বাঁচবে কী করে!’

একই সঙ্গে তিনি বাজেটে পোশাক খাতে ভর্তুকি ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর