শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে আনতে হবে : টিপু মুনশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ যাতে বিনিয়োগে আসে, এ জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যারা বেশি কর্মসংস্থান করবে, তাদের ক্ষেত্রে কর আরেকটু কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক আলোচনায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক, সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়িক নেতারা।

 দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা অনুষ্ঠানে বাজেট নিয়ে তাদের সমস্যার দিকগুলো তুলে ধরেন।

টিপু মুনশি বলেন, আমি সংসদে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগের পক্ষে বলেছি। আমার সঙ্গে অনেকে হয়তো একমত হবে না। কিন্তু আমাদের এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ না দিলে টাকা দেশে থাকবে না। উন্নতির একটা পর্যায়ে গিয়ে এই সুযোগ বন্ধ করা যেতে পারে। আমরা চাই দেশের টাকা যেন দেশের বাইরে না যায়। যেভাবেই হোক টাকা দেশে থাকুক। এই সুযোগ দেওয়ার পর যতটুকু টাকা বিনিয়োগ হবে, ততটুকুই লাভ। কম কর দিয়ে হলেও যদি কিছু টাকা মূল স্রোতে আসে, তাও ভালো। তিনি বলেন, বৈধ পথে অর্জিত অপ্রদর্শিত অর্থকে কালোটাকা বলা ঠিক না। একে অপ্রদর্শিত অর্থ বলা উচিত। বিনিয়োগের জন্য ১০ শতাংশ কর দিয়ে অর্থনৈতিক জোনগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগ আরও প্রসারিত হতে পারে। যে কোম্পানি একশ জন কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে আর যে কোম্পানি ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে, দুজনের করের হার এক হওয়া উচিত না। বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য সবকিছু করবে। যে কোনো সমস্যা আমরা সমাধান করব। ভ্যাট নিয়ে কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কারও ওপর বাড়তি কর বা ভ্যাট চাপানো হবে না। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবসায়ীদের দেওয়া হবে। কেউ আশা হারাবেন না। বাজেট পাস হওয়ার পরেও কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে সেটা সমাধান করা যাবে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয়, আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পোশাক খাতে প্রণোদনার ওপর কর আরোপ করা হলে ঠিক হবে না। আয়কর অফিসের জনবলের কারণে যেন ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর