শিরোনাম
শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

জাতীয় মুক্তি মঞ্চের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

অলি আহমেদের ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চে’র উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করার। গণতন্ত্রের জন্য ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যে কোনো উদ্যোগকে  আমরা স্বাগত জানাই।’ বিকাল সাড়ে ৩টায় বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত দলীয় সদস্য জি এম সিরাজকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন। এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ওবায়দুর রহমান চন্দন, শায়রুল কবির খান, বগুড়া-৪ আসনের এমপি মোশাররফ হোসেনসহ বগুড়ার  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বর্তমানে বরগুনার মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, প্রতিদিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে এই সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণে এসব ঘটনা ঘটছে। যখনই আপনার অপরাধী যদি শাস্তি না পায় এবং দলীয় কারণে তারা যদি মুক্ত হয়ে যায়, স্বাভাবিক কারণে অন্যান্য অপরাধী সেই দলের ছত্রছায়ায় গিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়, সেখানেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।’

এ রকম ঘটনা কেন ঘটছে বলে মনে করেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব হত্যাকা  বেড়েছে যেহেতু দেশে আইনের শাসন নেই, যেহেতু জবাবদিহিতামূলক  কোনো সরকার  নেই, যেহেতু জনগণ এই সরকারকে নির্বাচিত করেনি, পার্লামেন্টে কোনো জনগণের প্রতিনিধি  নেই,  সেই কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। এখানে ন্যায়বিচার  নেই। বিগত এক দশক ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু নয়, বিচার বিভাগও দলীয়করণ করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে, হত্যা বাড়বে, ধর্ষণ বাড়বে- এটাই কিন্তু সোশ্যাল কন্ডিশনস সেটাই প্রমাণিত হবে, সামাজিকভাবে সেইটাই আসবে।’ গত ১০ বছরে যত হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণ হয়েছে তা ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচিত সদস্য জি এম সিরাজ বলেন, ‘বগুড়া উপনির্বাচনে বগুড়ার মানুষ এবার ভোট দিয়েছে।  ভোটটি উৎসবমুখর বলব না। ভোট হয়েছে মানুষের মনে বিষাদ, মানুষ ধিক্কার নিয়ে ভোট দিয়েছে। মানুষের ভোটের ওপর অনাস্থা, অনাগ্রহ। গত ১০ বছর ভোটের সংস্কৃতি নষ্ট করে দিয়েছে এই সরকার, মানুষ ভোট দিতে পারছে না। এই সরকার ভোটের সরকার নয়, এখন দিনের ভোট রাতে হয়। যা হোক মানুষের এই অনাগ্রহ ও মানুষের অনিচ্ছার মধ্যে এই ভোট হয়েছে। তার পরও বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বগুড়ার জনগণ সেই আসনে যে আসন বেগম খালেদা জিয়ার আসন, যে আসন জিয়া পরিবারের আসন, এই আসনটি যাতে বেহাত না হয়, এই আসনটি যাতে জিয়া পরিবারের কাছে থাকে সেজন্য বগুড়ার মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর