বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ৫০০ বেড বা শয্যার হলেও গড়ে রোগী থাকছে ১৪০০। নতুন, পুরাতন ও বহির্বিভাগ মিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন রোগী আসছে প্রায় ৩ হাজার। রোগীর চাপে বেড সংকুলান না হওয়ার কারণে করিডরে রোগী রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২০ সালের মধ্যে বেড বাড়িয়ে দেড় হাজার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি এখন সময়ের ব্যাপার। শজিমেক হাসপাতালের সহ পরিচালক ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৪০০ রোগী ভর্তি থাকে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে রোগী রাখতে হচ্ছে। রোগীরা এ কারণে ভোগান্তির শিকার
হয়। যতটা পারছি আমরা সেবা দিচ্ছি। হাসপাতালে যে জনবল ও স্থাপনা আছে তাও ৫০০ বেডের। মাঝে রোগীদের কথা ভেবে বিশেষ বরাদ্দ নিতে হয়। এখন প্রতিদিন সেবা দিতে হচ্ছে প্রায় ১৩০০ থেকে ১৪০০ রোগীর। রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে সবারই কষ্ট হয়। হাসপাতালের ভবন ও বেড সম্প্রসারণ না করা হলে আরও ভোগান্তি বাড়বে রোগীদের। বগুড়া জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি হলে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র আরও বাড়বে। উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলার রোগী সবসময় থাকে। শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ গোলাম রসুল জানান, হাসপাতালে রোগীর চাপ আছে। বহির্বিভাগ থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে রোগী চাপ প্রচুর। হাসপাতালের যে বরাদ্দ ও জনবল আছে তা দিয়ে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে হাসপাতাল ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবটি দেওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিন দেখেছেন। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ১৫০০ বেডে উন্নীত করার জন্য বলা হয়েছে। হাসপাতালের যন্ত্র মেরামত করার পর এখন সচল রয়েছে। হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অতিরিক্ত সময় নিয়ে কাজ করতে হয়। তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকছে প্রায় ১৪০০ জন।