বুধবার, ৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রস্তুত নয় রাজশাহী আওয়ামী লীগ

কাউন্সিলের উদ্যোগ নেই, থমকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সভাপতি-সম্পাদক দ্বন্দ্ব জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে। দ্বন্দ্বে মেয়াদ পার দুই কমিটির। নতুন কাউন্সিলের উদ্যোগ নেই। থেমে আছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানও। কেন্দ্র থেকে চিঠি দেওয়া হলেও কার্যত নিশ্চুপ স্থানীয় নেতারা। কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কাউন্সিল করতে এখনই প্রস্তুত নন জেলা ও নগর নেতারা।

২০১৪ সালে কাউন্সিল হয়েছে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের। ওই কাউন্সিলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি আর সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। নগরে সভাপতি হন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আর সাধারণ সম্পাদক হন ডাবলু সরকার।

কাউন্সিলের কিছুদিন পরেই দ্বন্দ্বে জড়ান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তাদের দ্বন্দ্বে গত ২২ মাস কোনো সভা হয়নি জেলা কমিটির। নির্বাচনের সময়ও এই দ্বন্দ্ব বহাল ছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্য।

সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর দ্বন্দ্ব শুরু হয় নগর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের মধ্যে। সিটি নির্বাচনে ডাবলু কাজ করেননি-এমন অভিযোগ তোলেন লিটনের ঘনিষ্ঠরা। ফলে এই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

সভাপতি-সম্পাদকের দ্বন্দ্বের জের ছড়িয়েছে তৃণমূলেও। মেয়াদ পার হলেও তৃণমূলের কোনো কমিটিই গঠন করা যায়নি। সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান, দলের কাউন্সিলের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে জেলা ও নগর কমিটিকে।

কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পরও নিশ্চুপ স্থানীয় নেতারা।  তারা বলছেন, তৃণমূলের কাউন্সিল শেষে জেলা ও নগরের কাউন্সিল করতে সময় লাগবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সভাপতির কারণে ২২ মাস ধরে সভা হয় না জেলা কমিটির। তারপরেও তিনি তৃণমূলের কমিটিগুলোকে সচল রাখতে ভূমিকা রাখছেন। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছিল। কিন্তু ফরম না থাকায় সেটি বন্ধ আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর