বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছয় বছরেও শেষ হয়নি মাউশির নিয়োগ

আকতারুজ্জামান

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ২২টি পদে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০১৩ সালের ৭ মার্চ। এর মধ্যে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হলেও চতুর্থ শ্রেণির ৯৮৭ শূন্যপদে গত ছয় বছরেও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। তাই শেষ হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া। দীর্ঘ কয়েক বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় এসব পদে নিয়োগ প্রত্যাশীরা বিপাকে পড়েছেন। এদের বেশিরভাগের চাকরির বয়সও শেষ হয়ে গেছে। চাকরি না পেয়ে তারা হা-হুতাশ করছেন। তথ্যমতে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় একই বছরের ১৪ জুন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আসায় বাতিল হয়ে যায় নিয়োগ পরীক্ষা। পরে ২০১৭ সালের ৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ৩০ জুলাই। মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় একই বছরের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে মাস্টাররোলে কর্মরতরা বেশ কয়েকটি রিট করেন। ফলে আটকে যায় নিয়োগের কার্যক্রম। তাই মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর ১৮ মাস অতিবাহিত হলেও এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। চাকরিপ্রত্যাশীরা এসব পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ও মাউশি মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো আশার আলো দেখতে পাননি। এমএলএসএস পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নরসিংদীর আক্তার হোসেন বলেন, মাউশির সদিচ্ছার অভাবেই আমাদের চাকরির চূড়ান্ত ফল প্রকাশে গড়িমসি করা হচ্ছে। অনেক আগেই আমার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পার হয়ে গেছে। নিয়োগের চূড়ান্ত ফল না পেয়ে হতাশায় দিন কাটছে। বগুড়ার নিয়োগপ্রত্যাশী শাহিনুর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, একই বিজ্ঞপ্তিতে ২২ পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণির দুটি পদ বাদে সব পদে ২ বছর আগে চাকরিতে যোগদান করেছে প্রার্থীরা। কিন্তু আমাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমরা চাই আইনি জটিলতা শেষে দ্রুত নিয়োগের ফল প্রকাশ করে আমাদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা হোক। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলছেন, আইনি জটিলতার কারণে এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল। এসব পদে নিয়োগ সম্পন্ন করতে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ চেয়েছি।

তারা একটি গাইডলাইন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। এটি মাউশিতে আসলেই আমরা দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর