শিরোনাম
শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে

নেপথ্যে আইন অমান্য ও অবাধে অটো রিকশা চলাচল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কমলমুন্সি হাট সংলগ্ন জুলুর দিঘির পাড় এলাকায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গত বুধবার ভোরে দুজন নিহত হন। ওই দিন রাতেই পটিয়ার মনসারটেক এলাকায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হন তিনজন। একদিনেই এ মহাসড়কে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

গত ২৮ মার্চ রাত ১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের লোহাগাড়ার চুনতি জাইল্যারটেক এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ আটজনের মৃত্যু ও ১১ জন আহত হয়। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। এভাবেই ক্রমশ মৃত্যুকূপে পরিণত হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। দেশের অন্যতম বৃহত্তম এ মহাসড়কে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী সেতু থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রায় ৭০ কিলোমিটার অংশে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হওয়ায় মৃত্যুও বাড়ছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাসের ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, কারসহ ছোট গাড়ি। মহাসড়কে বাসগুলো বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে ছোট গাড়িগুলো প্রতিনিয়তই ঝুঁকিতে থাকছে। পক্ষান্তরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে অটোরিকশা চলার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানায় পুলিশ। 

যাত্রীদের অভিযোগ, চালকরা আসনে বসার পর পেছনে যে কিছু মানুষ বসে থাকে, যাত্রাকালীন সময়ে ওই সব মানুষকে ভালো-মন্দ অনেকাংশে যে ওই চালকের ওপর নির্ভরশীল- এসব কথা সম্পূর্ণ ভুলে যান। ফলে চালক অনেকটা বেপরোয়া মনোভাব নিয়েই গাড়ি চালান।

তবে হাইওয়ে পুলিশ মনে করছে, আইন অমান্য করা, চালকের বেপরোয়া মনোভাব, অপরিণত ওভারটেকিং, পরস্পর অসম প্রতিযোগিতা, চালকের মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, অদক্ষ চালক, পর্যটন মৌসুমে বেশি যাত্রী পরিবহনের মানসিকতা, শুষ্ক মৌসুমে ইটভাটার মাটি ও লবণের পানিতে সড়ক পিচ্ছিল হওয়াসহ নানা কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘চালকের বেপরোয়া মনোভাব, অনিয়ন্ত্রিত ওভারটেকিং, মোটরসাইকেল চালকের হেলমেট ব্যবহার না করা এবং চালকদের আইন না মানাসহ নানা কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে চালকদের   সচেতন করতে আমরা নানাভাবেই তাদের  উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

সর্বশেষ খবর