শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

হঠাৎ জেলা কমিটি বাতিল আহ্বায়ক নিয়ে ক্ষোভ

রাজশাহী বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

হঠাৎ বাতিল করা হয়েছে রাজশাহী জেলা বিএনপির কমিটি। আগের কমিটি বাতিল করে গঠন করা হয়েছে আহ্বায়ক কমিটি। এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপির আবু সাইদ চাঁদকে। নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে যাদের নাম আছে তাদের অনেকেই রাজনীতিতে চাঁদের সিনিয়র। ফলে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেয়ে বাড়বে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে আছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সামনে কালো পতাকা পরিদর্শনের অভিযোগ। এছাড়া হত্যাচেষ্টাসহ ২২টি মামলা আছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়ার মামলা আছে। এছাড়া ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগের কমিটির চেয়ে এই কমিটি আরও ব্যর্থ কমিটি হবে। আহ্বায়ক কমিটির অনেকেই দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে। তাদের মাধ্যমে দলের কর্মীদের কোনো মূল্যায়ন হওয়া সম্ভব নয়।’ রাজশাহী জেলা বিএনপির            প্রভাবশালী নেতা ছিলেন সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা। তিনি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন দীর্ঘ কয়েক বছর। ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঘোষিত কমিটি থেকে বাদ পড়েন নাদিম। এরপর নতুন কমিটিতে তোফাজ্জল হোসেন তপু সভাপতি ও মতিউর রহমান মন্টু সাধারণ সম্পাদক পদ পান। কিন্তু তারাও কোনো চমক দেখাতে পারেননি। আন্দোলন-সংগ্রামে একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিল জেলা বিএনপি। মাঝে মধ্যে সভা আহ্বান করা হলেও নিজেরাই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েছেন। মেয়াদ পার হয়েছে ৬ মাস আগে। তবে নতুন কমিটির আহ্বায়ক নিয়ে ক্ষোভ আছে তৃণমূলের নেতাদের। সদ্য বাতিল হওয়া কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল বলেন, দল যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে। এনিয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই। সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটির সবাইকে নিয়ে দল গোছাতে পারলে ভালো। আমরা সহযোগিতা করব।’ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এই দলের সভাপতি অথবা আহ্বায়ক ছিলেন এমরান আলী সরকার, অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন, এখলাক হোসেন, আবদুল হাই, নাদিম মোস্তফার মতো আইনজীবীরা। সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন আইনজীবী। তাদের জায়গায় নতুন আহ্বায়ক নিয়ে বিব্রত তৃণমূলের বহু নেতা। সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু বলেন, ‘দল যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে। আমরাও চাই দল ভালো করুক। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।’

সর্বশেষ খবর