রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফতুল্লার ধর্ষক মাদ্রাসা শিক্ষক কারাগারে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১০ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিনের বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। একই সঙ্গে বিচারক শিক্ষক আল আমিনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার সকালে ছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আর অন্য মামলাটি করা হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের করা মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় মাদ্রাসার একটি কক্ষে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই অধ্যক্ষ। তিনি একাধিকবার ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি করেছেন। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। অধ্যক্ষ আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন কৌশলে ছাত্রীদের ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানি করে আসছেন। তার ব্যবহৃত কম্পিউটার ও মুঠোফোনে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও রয়েছে। অন্য অশ্লীল ছবির সঙ্গে ছাত্রীদের মাথা সংযোজন করে ছাত্রী ও অভিভাবকদের ভয়ভীতি দেখাতেন আল আমিন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসায় ১০ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অধ্যক্ষ আল আমিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১। জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যক্ষ আল আমিন ১২ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ স্বীকার করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর