রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রগতি শুধু গাড়ি নয় যন্ত্রাংশও তৈরি করবে : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দেশপ্রেমের কারণে বিএমডব্লিউ ব্যবহার না করে তিনি প্রগতির গাড়ি চালান বলে জানালেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। গতকাল বিকালে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ ও চট্টগ্রাম চেম্বরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রগতির বিরাট ভূমিকা রয়েছে, যা আমি নিজ চোখে দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বপ্ন দেখেন, প্রগতি নিজে গাড়ি বানাবে, যাতে সবাই চড়বে। বঙ্গবন্ধুর অহংকার  ছিল প্রগতি নিয়ে। প্রগতির শ্রমিক-কর্মকর্তাদের মনে করতে হবে তারা প্রগতির অংশীদার। দেশের বাজার বড়, তাই গাড়ির যন্ত্রাংশ, ব্যাটারি তৈরি করবে প্রগতি- যা লাভজনক হবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আধুনিক গাড়ি বানালে ব্যবসায়ীরা প্রগতির গাড়ি কিনবে। প্রগতি দেশের সম্পদ। আমাদের সব পারতে হবে। ওষুদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমরা বিদেশে রপ্তানি করছি। সেখানে গাড়ি বানানো এখন আর কোনো কঠিন বিষয় হতে পারে না। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের  চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, প্রগতি ব্যাটারি, টায়ার, পার্টস করব। সরকারিভাবে নয় বেসরকারি পর্যায়েও প্রগতির গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে। তবে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। এর মধ্যে বকেয়া আদায়ও রয়েছে। বিআরটিসির কাছে ১৪৩ কোটি টাকা পাবে প্রগতি। প্রগতি টাওয়ার নির্মাণে বাধা দূর করতে হবে। মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, দেশে গাড়ি সংযোজন খাতে প্রগতি একমাত্র শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্থানীয়ভাবে গাড়ি সংযোজন ও উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।

 বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রাথমিকভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পণ্য ও গণপরিবহন খাত পুনর্গঠনের দায়িত্ব পড়ে প্রগতির ওপর। কয়েক বছর ধরে ১৭০ কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছে প্রগতি।

এদিকে প্রগতি ম্যানুয়াল পদ্ধতির উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তে অটোমেটিক অ্যাসেম্বল প্লান্ট স্থাপন, ঢাকার তেজগাঁওতে প্রগতির মালিকানাধীন দেড় একর জমিতে ৩৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ৩ বেজমেন্টসহ ৩৭ তলা ভিত্তির ওপর ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, সব বিভাগীয় শহরে সার্ভিস সেন্টার ও শোরুম, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে ৪ দশমিক ৩১ একরে গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানাসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বগুড়া ও খুলনায় সার্ভিস সেন্টার নির্মাণকাজ চলছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিপুল কর্মসংস্থানসহ প্রগতির ব্যবসা বহুগুণ সম্প্রসারিত হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন অতিথিরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর