সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

দেশে জঙ্গলের শাসন চলছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, যদি সরকারের বোধোদয় না হয়, উপলব্ধি না হয়, তাহলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। সুতরাং এখনো সময় আছে, জনগণের দাবি মেনে নেওয়ার। তিনি বলেন, দেশে এখন জঙ্গলের শাসন চলছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বামজোটের হরতাল পালনে সরকার দাবি মেনে নেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, যে সরকারের ম্যান্ডেট নেই, সেই সরকার কী করবে, কী করবে না- তা আমরা জানি না। তবে আমাদের এ সংগ্রাম এই পর্যায়ে থাকবে না। এর স্ফুলিঙ্গ দাবানলের আকারে একদিন ছড়িয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, গত বুধবার ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা) ট্রেনবহরে হামলার সম্পূর্ণ বানোয়াট ও সাজানো মামলায় বিএনপির ৯ জনের ফাঁসি, ২৬ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে একটি আদালত। যে ঘটনায় কেউ হতাহত হয় না, সেই মামলায় ফাঁসি হওয়ার কোনো আইন পৃথিবীতে আছে কিনা আমাদের জানা নেই। এ ধরনের রায় পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।

২৪ বছর আগে পরিকল্পিতভাবে শুধু তামাশা করার জন্য নিজ দলীয় লোকদের দিয়েই ট্রেনের কাছে ফাঁকা গুলির ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণফাঁসির রায় প্রমাণ করে দেশ এখন দুঃশাসনের কালো রাতে আচ্ছন্ন।

তিনি বলেন, ঈশ্বরদীর এই হাস্যকর মামলার রায় জনগণের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, কী পরিমাণ অপশাসন-কুশাসন আর জুলুম চলছে। যাদের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশের এফআইআরে নাম পর্যন্ত ছিল না। আওয়ামী লীগ অভিযোগ করে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে যাত্রাবিরতি করলে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। মামলাটির সময় পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্টও দাখিল করে। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর কারও নির্দেশে আজ্ঞাবহ পুলিশকে দিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে নতুনভাবে ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় ৫২ জন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীকে এ মামলার আসামি বানানো হয়। তাদের অপরাধ তারা বিএনপি করে। এ কারণে বিচারের নামে এই প্রহসনের শিকার হলেন তারা।

সর্বশেষ খবর