সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে অসন্তোষ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শাখার নতুন কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে  যেমন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে কমিটির কার্যক্রম, তেমনি আগামী কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে দানা বেঁধেছে অসন্তোষ। এছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা এবং বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এই শাখার অনেক নেতা-কর্মী।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে রাবি ছাত্রলীগের ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আংশিক কমিটি ঘোষণার প্রায় ছয় মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২০১৭ সালে সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও এখনো হয়নি নতুন কমিটি। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও তা হবে কি নাÑ এ নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছে পদপ্রত্যাশী নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাবি ছাত্রলীগের অনেক কর্মী এবং ছোট পোস্টের কর্মীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে তাদের কোনো পরিচয় ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে-  যা একজন কর্মীর কাছে কতবড় কষ্টের সেটা আমরা বুঝি। আবার অনেকেই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে নানা অসন্তোষের কারণে বর্তমান কমিটিতে ২৬৭ জনের ৫০ জনও আর এ্যাকটিভ নেই এবং অনিশ্চয়তায় অনেক ত্যাগী কর্মী রাজনীতি থেকে সরে পড়ছেন। এছাড়াও ২৬৭ জন নেতার ভিতর এখন ৫০ জন পোস্টেড নেতাও তাদের ছাত্রলীগ টেন্টে বসেন কি না সন্দেহ, যারা বসেন তাদেও বেশির ভাগ ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

সাবেক এক ছাত্রলীগ কর্মী অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান কমিটিতে শুরু থেকেই কোনো চেইন অব কমান্ড ছিল কি না সন্দেহ, শুরুতে কিছু দিন থাকলেও বর্তমানে তা সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা সারা দেশে প্রায় মেয়াদোউত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিতে শুরু করেছি। তার ধারাবাহিকতায় খুব শিগগির রাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দিতে পারব বলে আশা করছি।’

সর্বশেষ খবর