বুধবার, ১০ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

হঠাৎ অস্থির চট্টগ্রামের বাজার

পাইকারির সঙ্গে খুচরা বাজারের বিস্তর ফারাক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৯৭ টাকা। প্রতি কেজি দারচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩২৫ টাকা এবং প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৭৭০ এবং জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা। এটি গতকালের পাইকারি বাজারমূল্য। কিন্তু খুচরা বাজারের চিত্র ভিন্ন। খুচরা বাজারে এসব পণ্যের দাম প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিন্ন চিত্র পিয়াজ, রসুন ও আদার বাজারে। তবে পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, মসলা পণ্যে প্রতি কেজিতে মানভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশে বিক্রি করা যায়। কিন্তু ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করাটা কতটুকু যৌক্তিক তা বিবেচনা করা উচিত। খুচরা ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি বাজার ভ্রাম্যমাণ অভিযানসহ নানা কারণে তদারকির মধ্যে থাকে। কিন্তু খুচরা বাজার বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। ফলে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো মূল্যে তা বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের বাজারে সরকারের নজরদারি বাড়ানো দরকার।

খাতুনগঞ্জের আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আমেরিকার এলাচি আকার, রং ও মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-২৩০০ টাকা, প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা বিক্রি হচ্ছে ২০৯৭ টাকা, প্রতি কেজি দারচিনি ৩২৫ টাকা, লবঙ্গ ৭৭০-৭৯০ টাকা, জায়ফল ৩৬০ টাকা, ভারতের চিকন জিরা ২৯৮ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, কোরবানি উপলক্ষে দাম বেড়েছে পিয়াজ, রসুন ও আদার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল বাজারে ভারতের নাসিকা অঞ্চলের প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয় ৩১ থেকে ৩২ টাকা, ছোট আকারের কানপুর বা ইন্দুরি পিয়াজ বিক্রি হয় ২২ টাকা। অন্যদিকে, চীনের প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, রসুন ১২১ টাকা।

 কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি আদা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর