বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

কঠোরতার সময় এসেছে তাদের জামিনের বিষয়ে : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক পরিস্থিতির বিবেচনায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের জামিনের বিষয়ে এখন কঠোরতা প্রদর্শনের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, জামিন দেওয়া আদালতের এখতিয়ার। সেটি আইনগতভাবে প্রয়োগ করতে হবে। আমার আবেদন, একটু কঠোর হওয়া ও এদের জেলখানায় রাখার সময় এসেছে। রাজধানীর নিবন্ধন অধিদফতর প্রাঙ্গণে গতকাল জেলা ও দায়রা জজ এবং সমমর্যাদার বিচারকদের নতুন গাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, দেশে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। অনেক সময় আইনের ফাঁকফোকরে অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এ জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি থাকে এসব বিচার যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

 নুসরাতের মামলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে পারি এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। এখন উচ্চ আদালতের কথা বললে আমাকে বলতেই হয়, সেখানে এ পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন ধরনের। মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে অনেক তথ্য আছে যে বিচারিক আদালতে সাজা হয়েছে বা অত্যন্ত সেনসেশনাল (সংবেদনশীল) মামলা মোকদ্দমায়ও দেখা গেছে যে, উচ্চ আদালতে সে সব আসামিকে জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করব। জামিনের বিষয়ে কঠোরতা প্রদর্শনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিচার বিভাগকে আমি কোনো সুপারিশ বা আদেশ দিচ্ছি না। সামাজিক পরিস্থিতিকে আমলে নিয়ে আমি শুধু অনুরোধ করছি, এদিকে যেন সবার মনোযোগটা থাকে।

এদিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার মামলার রায় নিয়ে বিএনপি বলছে আইন মন্ত্রণালয় এ রায় লিখে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমার মনে হয় উনাদের সময় এ ধরনের রায় লিখে দিতেন সে অভিজ্ঞতা থেকে এসব বলছেন। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, বিচার বিভাগকে কোনোভাবেই চাপ দেই না। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। তিনি বলেন, ওনারা (বিএনপি) বলছেন ঈশ^রদীতে কেউ খুন হয় নাই। নয়জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ওনাদের আমি শুধু মনে করিয়ে দেব অস্ত্র ও বিষ্ফোরক আইনের তিন ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদ- প্রদানে খুন করতে হয় না। কেউ যদি খুন হবে এটা জেনে বোমা ছোড়ে তাহলে তাকে ফাঁসি দেওয়া যায়। আইনের মধ্যে সেটা আছে।

গাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যুগ্ম সচিব গোলাম সারোয়ার, বিকাশ কুমার সাহা ও হাবিবুর রহমান, সলিসিটর জেসমিন আরা, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক খান মো আবদুল মান্নানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর