শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

টানা বর্ষণে স্থবির চট্টগ্রাম বন্দর

ডুবেছে সিলেট ও খুলনার বিভিন্ন এলাকা

প্রতিদিন ডেস্ক

টানা বর্ষণে স্থবির চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস না হওয়ায় জাহাজজট বাড়ছে -দিদারুল আল

টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা। আর বর্ষণ ও যানজটের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতির পাইপলাইন চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম।

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, টানা বর্ষণ ও যানজটের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। তীব্র যানজটের কারণে স্বাভাবিকভাবে বন্দরের পণ্য পরিবহন করতে পারছে না ভ্যান, লরি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান। এতে আমদানি-রপ্তানি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত সাত দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক জাহাজের পণ্য খালাস হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৮০টি জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ভারি বর্ষণের কারণে জাহাজ থেকে স্বাভাবিক গতিতে কনটেইনার নামানো যাচ্ছে না। দেওয়া যাচ্ছে না ইয়ার্ড থেকেও কনটেইনার ডেলিভারি। যানজটের কারণে বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা গাড়িগুলোর ভিতর-বাইরে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সময় লাগছে। স্বাভাবিক গতিতে খালাস করতে না পারায় কনটেইনার-জট সৃষ্টি হচ্ছে। আবার অফডক থেকে রপ্তানির কনটেইনারগুলোও যানজটের কারণে বন্দরে ঠিকভাবে আসতে পারছে না। এতে কনটেইনার ফেলেই জাহাজকে চলে যেতে হচ্ছে। বন্দরের ইয়ার্ডে ৪৯ হাজার ১৮টি কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা আছে। এরই মধ্যে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে কনটেইনার রয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার। আগামী কয়েক দিন এভাবে চলতে থাকলে বন্দরে কনটেইনার-জট সৃষ্টি হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘ভারি বর্ষণ ও যানজটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এ স্থবিরতা কাটাতে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টি ও        যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বন্দরের সংকটও দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।’ নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট জানান, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খুলনায় ভারি বৃষ্টিতে বেহাল : নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা জানান, ভারি বৃষ্টিতে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে হাঁটুপানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বেলা আড়াইটায় শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত। এ সময় নদীতে জোয়ার থাকায় বৃষ্টির পানি দ্রত নিষ্কাশন হয়নি। এজন্য বিভিন্ন সড়কে পানি জমে তা কাদাপানির ডোবায় পরিণত হয়। আবার কোথাও নোংরা পানির সঙ্গে আবর্জনায় পুরো সড়ক ভরে যায়। ছোটবড় খানাখন্দে বেহাল দশায় পড়ে নগরবাসী।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, গতকাল ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এটি চলতি বর্ষা মৌসুমের প্রথম ভারি বর্ষণ। এর আগে চলতি মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর