সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

যেভাবে এসেছিলেন রাষ্ট্রক্ষমতায়

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

যেভাবে এসেছিলেন রাষ্ট্রক্ষমতায়

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারের ব্যর্থতার অজুহাত তুলে সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। এ সময় তিনি দেশের সংবিধান রহিত করে সামরিক আইন জারি করেন ও জাতীয় সংসদ বাতিল করেন। তিনি নিজেকে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করেন। এই সাংবিধানিক পদটি একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের প্রাপ্য। এরপর এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৭ মার্চ বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত করেন। কিন্তু বিচারপতি চৌধুরীর কোনো কর্তৃত্ব ছিল না। কারণ, ঘোষিত সামরিক আইনে সুনির্দিষ্টভাবে বলা ছিল, সিএমএলএ’র (প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক) উপদেশ বা অনুমোদন ব্যতীত প্রেসিডেন্ট কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ বা কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন না। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক (সিএমএলএ) হিসেবে  দেশ শাসন করেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে ১৯৮৬ সালের অক্টোবর মাসে আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরশাদ জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৮৬ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন প্রধান বিরোধী দলগুলো বর্জন করে। পরে প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন।

সর্বশেষ খবর