মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে প্যারাসিটামল সিরাপ সংকট চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে প্যারাসিটামল সিরাপ সংকট চলছে

রাজশাহীতে গত এক সপ্তাহ ধরে শিশুদের জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধ প্যারাসিটামল সিরাপের সংকট চলছে। নগরীতে পাওয়া গেলেও উপজেলায় এ সিরাপের সংকট চলছে। ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ফার্মেসিতে প্যারাসিটামল সিরাপ নেই। গতকাল নগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর এবং জেলার চারঘাট, বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওষুধের সংকট চলছে। নগরীতে সিরাপ অপ্রতুল থাকলেও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট আছে পর্যাপ্ত। কিন্তু     উপজেলায় সিরাপ ও ট্যাবলেট দুটোই চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। পুঠিয়ার ফার্মেসি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও সিরাপ দুটোই চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ফার্মেসিতে কয়েকদিন থেকে সিরাপ ও ট্যাবলেট নেই। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এর মাঝে আগে এক বক্স ট্যাবলেটের দাম ছিল ৩৪৫ টাকা, বর্তমানে তা হয়েছে ৩৫০ টাকা।

এদিকে রাজশাহী নগরীর ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন থেকেই নাপা সিরাপের সংকট চলছে। কিন্তু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট আছে পর্যাপ্ত। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি জানান, প্রধান অফিস থেকে সিরাপের সরবরাহ কম থাকায় তারা দোকানে সরবরাহ দিতে পারছেন না। এতে সিরাপের জায়গায় অন্য ওষুধ দিতে হচ্ছে। নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার সর্বমান ঔষধালয়ে কর্মরত মেরাজ উদ্দিন জানান, দুই সপ্তাহ ধরে নাপা সিরাপের সংকট। তবে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট পর্যাপ্ত আছে। হঠাৎ সিরাপ অপ্রতুল হওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, কোম্পানি তাদের চাহিদামতো দিতে পারছে না। লক্ষ্মীপুরের ধীরাজ ফার্মেসির তৌসিফ রহমান জানান, প্রস্তুতকারক কোম্পানি এক মাস ধরে চাহিদামতো প্যারাসিটামল সিরাপ দিতে পারছে না। পদ্মা ফার্মেসির মালিক আবু জাফর জিকো জানান, আসলে বর্ষার কারণে এ কয়েক দিন উপজেলায় ওষুধ পৌঁছাতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে আমাদের শহরে ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। দু-এক দিন চাহিদামতো ওষুধ দিতে না পারলেও তিন দিনের মাথায় সব ওষুধ সঠিকভাবে পাওয়া যায়। এই বর্ষায় উপজেলাগুলোয় ওষুধের গাড়িগুলো ঠিকভাবে যায়নি। তাই কিছু কিছু ওষুধের অভাব ঘটেছে।

সাহেববাজার জিরো পয়েন্টের সৌদিয়া ফার্মেসির মালিক বেলাল হোসেন জানান, নাপা সিরাপের অভাব দেখা দিয়েছে। তবে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট পর্যাপ্ত রয়েছে। তিনি আরও জানান, সিরাপের সংকট দিনে দিনে এখন তীব্র হচ্ছে।

রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘শিশুদের প্যারাসিটামল ও সিরাপের বিষয়ে ঘাটতির কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাইনি। আমাদের জানা মতে উপজেলার সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে। তবে কোথাও ঘাটতি হলে সরবরাহ করা হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও সিরাপ আছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর