বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
নুসরাত হত্যা মামলা

তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ

ফেনী প্রতিনিধি

বহুল আলোচিত সোনাগাজীর নুসরাত হত্যা মামলায় তিন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এর আদালতে এ স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।  

মামলার সাক্ষী নুসরাতের সহপাঠি তানজিমা বেগম সাথী জানান, ২৭ এপ্রিল মাদ্রাসার পিয়ন নুরুর আমিন নুসরাতকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নুসরাতের শ্লীলতাহানী করা হয়। পরের দিন নুর উদ্দিন ও শামীম তাকেসহ অন্য শিক্ষার্থীদের জোর করে         অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার পক্ষে মানববন্ধনে নিয়ে যায়। সাথী জানান, নুসরাত তামান্নার উদ্দেশ্যে খাতায় যে চিঠি লিখে গিয়েছিলেন তা তারা জানতেন না। পরে শুনেছেন। চিঠিতে নুসরাত লিখেছে,তোরা আমার ক্লোজ বান্ধবী হয়েও জানলিনা সিরাজ উদ দৌলা আমার সঙ্গে কি আচরণ করেছে। আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।

নুসরাতের সহপাঠী বিবি জাহেদা তামান্না জানান, সাথীর কথা আর আমার কথা এক। আদালত তাই তামান্নার স্বাক্ষ্য গ্রহন না করে সাথীর স্বাক্ষ্যকে তামান্নার স্বাক্ষ্য হিসেবেও গ্রহন করেন। অপর সাক্ষী শিক্ষক নুরুল আবছার ফারুকী জানান, ঘটনার দিন একটি হলের পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলাম। পরীক্ষা শুরু হওয়ার মুহুর্তে দেখিছি একটি মেয়ের পোড়া শরীর উপর থেকে নামানো হচেছ। পরে জানতে পেলাম সে নুসরাত। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। আদালত আজ সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মূলতবী করা হয়। আজ ৪ সাক্ষী স্বাক্ষ্য প্রদান করবেন। সাক্ষীরা হলেন-মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক খুজিস্তা খানম, আকলিমা আক্তার, মো. কায়সার মাহমুদ ও আয়া বেবি রানি দাস।এ পর্যন্ত এ মামলায় ২১ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১৬ আসামিকে জেলা কারাগার থেকে এনে আদালতের কাষ্টডিতে রাখা হয়। বেলা  সাড়ে ১১টায় তাদের ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এর আদালতে হাজির করা হয়।  প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে নুসরাতকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিন তলার ছাদে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর